লুকমান হেকিম বলেন আর লুকমান (আঃ) বলেন, আসলে কিন্তু তিনি একই ব্যক্তি। লোকমান অত্যন্ত উঁচুদরের একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। সুফিয়ান ছওরী ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে, ক্বাতাদাহ জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে এবং সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব সহ অধিকাংশ সালাফের মতে তিনি নবী নন; বরং তিনি একজন সৎ বান্দা ছিলেন। যে আছার দ্বারা তাঁর নবী হওয়া প্রমাণিত হয় তা যঈফ (ইবনে কাছীর, তাফসীর সূরা লোকমান ৩১/১২ আয়াত)। লোকমানকে আল্লাহ বিশেষ ‘হিকমত’ দান করেছিলেন (লোকমান ৩১/১২)। এজন্যই তাঁকে "লোকমান হাকিম" বলা হয়। যেমন খিযিরকে বিশেষ ‘ইলম’ দান করেছিলেন (কাহফ ১৮/৬৫)। তাঁর জ্ঞানপূর্ণ উপদেশসমূহ কুরআনে বর্ণিত হয়েছে এবং তার নামে একটি সূরা নাযিল হয়েছে। এর কারণ হ’ল এখানে লোকমান কর্তৃক তাঁর সন্তানকে প্রদত্ত মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয় কিছু উপদেশ ও অছিয়ত সম্পর্কিত ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। যেমনভাবে বাক্বারাহ, কাহফ, আলে ইমরান, ইসরা প্রভৃতি সূরার নামকরণ অনেকসময় ঘটনার প্রেক্ষিতে হয়েছে। তার পিতা-মাতা, বংশ পরিচয়, প্রজ্ঞা ইত্যাদি ব্যাপারে অনেক ঘটনা বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে বিবৃত হয়েছে। তবে সেগুলি প্রমাণিত নয়।