ঐতিহাসিক ছয় দফার প্রবক্তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিরোধী দলসমূহের এক সম্মেলনে যোগদান করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে তিনি সংবাদ সম্মেলনে করে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।
মাসব্যাপী ছয় দফা প্রচারে ব্যাপক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করা হয়। সামরিক জান্তার ১৪৪ ধারা, গুলি বর্ষণ,নির্যাতন উপেক্ষা করে বিশ্বব্যাপী ছয় দফা দাবিতে ছাত্র,কৃষক,শ্রমিক,মজুরসহ আপামর জনগণের স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে ও শ্রমিক নেতা মনু মিয়াসহ এগারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত ৭ জুন অমরত্ব লাভ করে।৭ জুন স্বীকৃতি অর্জন করল বাঙালির 'মুক্তির সনদ' ৬ দফা দিবস রূপে।
ছয় দফাকে বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয় কারণ, এই কর্মসূচিতে পূর্ব পাকিস্তানের সকল অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়েছে ,এই কর্মসূচি বাঙালি জাতীয় চেতনা বিস্ফোরণ ঘটায়,এতে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার কথা বলা না হলেও এই ছয় দফা কর্মসূচি বাঙালির স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়। এটি ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ।