প্রথমেই ইস্তিখারা করে নিন।
নিজে হবু স্ত্রীকে দেখার আগে ঘরের মেয়েদেরকে দেখতে পাঠান। কারণ আপনি যখন মেয়ে দেখবেন তখন মেয়ের কোন দোষ চোঁখে পরবে না। একজন মেয়েই আরেকজন মেয়েকে ভালো চিনতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, ছেলে একজন মেয়েকে দেখে মনে ধরে গিয়েছে কিন্তু ঘরের লোকজন রাজি নয়। কিন্তু এদিকে ছেলের অবস্থা বেচইন। নাওয়াখাওয়া বাদ দিয়ে সারাদিন মেয়ের চিন্তা।
যখন মেয়ে দেখতে যাবেন, অবশ্যই নামাজের কথা জিজ্ঞেস করবেন। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিনা জানবেন। অতঃপর তাঁর মাযহাব/মানহাজ জিজ্ঞেস করবেন। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় আকীদা ঠিক থাকে না। পর্দার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবেন। কাজিনদের সাথে পর্দা করে কিনা, খালু, ফুফা এদের সাথে পর্দা করে কিনা। ফেসবুক বা কোন অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে কোন নন মাহরাম বন্ধু আছে কি না ইত্যাদি।
চাকুরীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ। চাকুরী করতে ইচ্ছুক বা চাকরিজীবী মেয়েকে বিয়ে করবেন না। একান্তই আমার মতামত।
সবশেষে একটা কথা বলি। প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে একটি জিনিস মাথায় রাখবেন যে, যাকে প্রশ্ন করছেন তাঁরও আত্মসম্মানবোধ আছে। আত্মসম্মানবোধে আঘাত হানে এমন প্রশ্ন করবেন না।
নিজেকে দ্বীনদার হিসেবে গড়ে তুলুন, আল্লাহর কাছে প্রচুর দুয়া করুন। ফেসবুক বা অন্যান্য অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে কখনো মেয়েদের(নন মাহরাম) সাথে চ্যাট করা তো দূরের কথা, ফ্রেন্ড হিসেবেও রাখবেন না।নিজেকে স্ত্রীর জন্য পবিত্র রাখুন। সূরা নূরের আয়াতটি মাথায় রাখবেন। "দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য, দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য। নেককার নারী নেককার পুরুষের জন্য, নেককার পুরুষ নেককার নারীর জন্য।"
ইনশাআল্লাহ দ্বীনদার স্ত্রী পেয়ে যাবেন।