ব্লুটুথ প্রযুক্তির উদ্ভাবক
ব্লুটুথ প্রযুক্তি মূলত ড. ইয়াপ হার্টসেন (Dr. Jaap Haartsen) নামের একজন ডাচ প্রকৌশলী উদ্ভাবন করেন। তিনি এরিকসন (Ericsson) কোম্পানির গবেষক হিসেবে কাজ করতেন।
উদ্ভাবনের সময় ও স্থান
-
উদ্ভাবনের বছর: ১৯৯৪ সাল
-
উদ্ভাবনের স্থান: এরিকসন মোবাইল কোম্পানির ল্যাব, লুন্ড (Lund), সুইডেন
ড. ইয়াপ হার্টসেন এবং তার সহকর্মী স্ভেন ম্যাটিসন (Sven Mattisson) একসাথে এমন একটি প্রযুক্তি তৈরি করেন যা তারবিহীনভাবে (wirelessly) স্বল্প দূরত্বে ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে।
ব্লুটুথ প্রযুক্তি কী করে?
ব্লুটুথ হলো একটি স্বল্প-দূরত্বের বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তি (short-range wireless communication technology), যা সাধারণত ২.৪ গিগাহার্টজ (GHz) ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে কাজ করে। এটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, হেডফোন, কীবোর্ড, মাউস ইত্যাদি ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে ডেটা আদান-প্রদান করে।
"ব্লুটুথ" নামকরণের ইতিহাস
“Bluetooth” নামটির একটি চমৎকার ঐতিহাসিক গল্প আছে -
-
“Bluetooth” নামটি এসেছে ১০ম শতাব্দীর ড্যানিশ রাজা “Harald Blåtand” (ইংরেজিতে Harald Bluetooth) এর নাম থেকে।
-
রাজা হ্যারাল্ড ব্লাট্যান্ড ডেনমার্ক ও নরওয়ে একত্র করেছিলেন, যেমনভাবে এই প্রযুক্তি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে একত্রে যুক্ত করে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে।
-
তাই, এই প্রযুক্তির নাম “Bluetooth” দেওয়া হয় প্রতীকীভাবে — একত্রিতকরণের প্রতীক হিসেবে।
“Blåtand” শব্দটি ডেনিশ ভাষায় “নীল দাঁত” অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাই ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে “Bluetooth”।
সংক্ষিপ্ত সারাংশ:
|
বিষয়
|
তথ্য
|
|
উদ্ভাবক
|
ড. ইয়াপ হার্টসেন (Dr. Jaap Haartsen)
|
|
সহ-উদ্ভাবক
|
স্ভেন ম্যাটিসন (Sven Mattisson)
|
|
কোম্পানি
|
এরিকসন (Ericsson), সুইডেন
|
|
উদ্ভাবনের বছর
|
১৯৯৪
|
|
নামকরণের উৎস
|
ড্যানিশ রাজা Harald Bluetooth
|
|
নামের তাৎপর্য
|
ডিভাইসগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন ও ঐক্যের প্রতীক
|