জনৈক বিদ্বান ব্যক্তি বলেন, সাত ধরণের আমল সাত ধরণের গুণ ব্যতীত কোন কাজে আসবে না-
১. পরিহার ব্যতীত ভীতি। অর্থাৎ কেউ বলে, আমি আল্লাহর আযাবকে ভয় করি, অথচ সে গুনাহ পরিহার করে না। সুতরাং তার এ কথা কোনো কাজে আসবে না।
২. চেষ্টা ছাড়া আশা। অর্থাৎ কেউ বলে, আমি আল্লাহ তাআলার নিকট সওয়াবের আশা রাখি, অথচ নেক আমলের মাধ্যমে তা তালাশ করে না। সুতরাং তার এ কথা কোনো কাজে আসবে না।
৩. চেষ্টা সাধনা ব্যতীত নিয়ত। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি অন্তরে এ ইচ্ছা রাখে যে, সে ভাল কাজ করবে, কল্যাণ কর্মে ব্রতী হবে, কিন্তু এর জন্য চেষ্টা ও উদ্যোগ গ্রহণ করে না। এ ব্যক্তির নিয়তও কোনো কাজে আসবে না।
৪. পরিশ্রম ব্যতীত দোয়া। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কল্যাণকর্মের তাওফীক চেয়ে দোয়া করে অথচ তা সম্পাদন করার জন্য কোন পরিশ্রম করে না। সুতরাং এ দোয়া তার কোনো উপকারে আসবে না। বরং তার দায়িত্ব হলো পরিশ্রম করা, যাতে আল্লাহ তাআলা তাকে তাওফীক দান করেন। যেমন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন,
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا وَ إِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ
অর্থ: যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।
অর্থাৎ যারা আমার আনুগত্যের পথে ও আমার দীনের জন্য চেষ্টা করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে সে কাজে সফলতা দান করি।
৫. অনুশোচনাহীন এস্তেগফার। অর্থাৎ কেউ বলে, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। অথচ কৃত গুনাহের জন্য তার কোনো অনুতাপই নাই। সুতরাং অনুশোচনাহীন ইস্তেগফার তার কোনো কাজে আসবে না।
৬. গোপনে নয়, কেবল প্রকাশ্যে। অর্থাৎ কেউ তার বাহ্যিক দিকটাকে শুধরে নিল। অথচ অপ্রকাশ্যে ও গোপনীয় দিককে শোধরালো না। সুতরাং তার বাহ্যিক শোধরানো কোনো কাজে আসবে না।
৭. এখলাস ব্যতীত পরিশ্রম। অর্থাৎ কেউ ভালো কাজের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করলো, কিন্তু সে কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন উদ্দেশ্য ছিলো না। সুতরাং তার এমন চেষ্টা-সাধনা কোনো কাজে আসবে না।
সূত্রঃ-তাম্বীহুল গাফিলীন।