প্রতিদিন সহবাস করলে শরীরে কিছু শারীরীক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়। এগুলো সাধারণত ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, তবে অতিরিক্ত বা জোর করে করলে নেতিবাচক প্রভাবও হতে পারে। নিচে এ দুটি দিক নিয়েই আলোচনা করা হলো।
★ ইতিবাচক পরিবর্তনসমূহ
১. হরমোনের ভারসাম্য উন্নত হয় -
সহবাসের সময় শরীরে অক্সিটোসিন, এন্ডোরফিন ও ডোপামিন নিঃসৃত হয়, যা সুখ, শান্তি ও বন্ধন অনুভূতি বাড়ায়।
২. স্ট্রেস কমে -
প্রতিদিনের যৌনক্রিয়ায় কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) কমে যায়, ফলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমে।
৩. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে -
নিয়মিত যৌন সম্পর্ক শরীরে ইমিউনোগ্লোবুলিন A (IgA) বৃদ্ধি করে, যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪. ঘুমের মান ভালো হয় -
সহবাসের পর শরীর থেকে অক্সিটোসিন ও প্রোল্যাকটিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ঘুম গভীর ও আরামদায়ক করে।
৫. ত্বক ও রক্তসঞ্চালন উন্নত হয় -
রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়, ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান হয়।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে -
যৌনক্রিয়ায় ক্যালোরি খরচ হয়, যা হালকা ব্যায়ামের মতো কাজ করে।
৭. সম্পর্কে মানসিক ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় -
শারীরিক সংস্পর্শে পারস্পরিক বিশ্বাস ও ভালোবাসা গভীর হয়।
★ সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব (যদি অতিরিক্ত হয়)
১. শারীরিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা -
পর্যাপ্ত বিশ্রাম বা পুষ্টি না থাকলে নিয়মিত সহবাসে শরীর দুর্বল হতে পারে।
২. হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে (অতিরিক্ত হলে) -
অতিরিক্ত যৌনতা টেস্টোস্টেরন বা ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
৩. যোনি বা যৌনাঙ্গে জ্বালা বা ব্যথা (নারীদের ক্ষেত্রে) -
পর্যাপ্ত লুব্রিকেশন না হলে প্রতিদিন সহবাসে যোনি শুষ্কতা, ঘর্ষণ বা ইনফেকশন হতে পারে।
৪. মানসিক একঘেয়েমি বা ক্লান্তি -
যদি ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়মিত হয়, তাহলে মানসিকভাবে বিরক্তি বা স্ট্রেস সৃষ্টি হতে পারে।