খেলাধুলা মানুষের শরীর, মন এবং চরিত্র গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে কয়েকটি ভাগে সুন্দরভাবে খেলাধুলার উপকারিতা বর্ণনা করা হলো -
১. শারীরিক উপকারিতা
★ শরীরকে সবল, সুস্থ ও কর্মক্ষম করে তোলে।
★ নিয়মিত খেলাধুলা করলে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
★ স্থূলতা (মোটা হওয়া), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
★ হাড় ও পেশি শক্তিশালী হয়, শরীরে সমন্বয় বজায় থাকে।
২. মানসিক উপকারিতা
★ মনকে প্রফুল্ল ও সতেজ রাখে।
★ চিন্তা, হতাশা ও মানসিক চাপ কমায়।
★ মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে।
৩. সামাজিক উপকারিতা
★ দলগত খেলায় অংশগ্রহণ মানুষকে সহযোগিতা, নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও সহনশীলতা শেখায়।
★ বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সামাজিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
★ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অন্যের সাফল্য মেনে নেওয়া ও নিজের সীমাবদ্ধতা বোঝার শিক্ষা দেয়।
৪. নৈতিক ও মানসিক চরিত্র গঠন
★ খেলাধুলা মানুষকে ন্যায়বোধ, নিয়ম মানা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও অধ্যবসায়ের শিক্ষা দেয়।
★ জয়-পরাজয় দুটিই স্বাভাবিক - এই মানসিকতা গড়ে তোলে।
৫. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব
★ খেলাধুলা একটি দেশের গৌরব ও ঐক্যের প্রতীক।
★ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের সম্মান ও পরিচিতি বৃদ্ধি করে।