ভাত রান্না স্বাস্থ্যকরভাবে করতে হলে প্রথমেই ভালো মানের চাল বেছে নিতে হবে। চাল ভালোভাবে ২–৩ বার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, যাতে ধুলাবালি ও অতিরিক্ত স্টার্চ ধুয়ে যায়। এরপর পাত্রে চালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পানি দিতে হবে — যেমন ১ কাপ চালে ২ কাপ পানি।
রান্নার সময় অতিরিক্ত তেল, ঘি বা লবণ ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এতে ক্যালরি বেড়ে যায় এবং রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। পানি ফুটে উঠলে আঁচ একটু কমিয়ে ঢেকে দিতে হবে, যাতে ধীরে ধীরে ভাত সিদ্ধ হয় এবং চালের ভেতরের পুষ্টিগুণ নষ্ট না হয়।
ভাত সিদ্ধ হয়ে গেলে অতিরিক্ত পানি থাকলে সেটা ছেঁকে ফেলে দিতে হবে — এতে অতিরিক্ত স্টার্চ বেরিয়ে যায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রান্না শেষে কিছুক্ষণ ঢাকনা খোলা রেখে ভাত ঠান্ডা হতে দিলে অতিরিক্ত ভাপ ও আর্দ্রতা বেরিয়ে যায়, ফলে ভাত হালকা ও হজমে সহজ হয়।
এভাবে রান্না করা ভাত শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয়।