শরীরে চুলকানি হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। নিচে প্রধানগুলো বিস্তারিতভাবে বলছি
১. ত্বকের শুষ্কতা:
শীতকালে বা গরমে ঘাম শুকিয়ে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে চুলকানি হয়।
২. অ্যালার্জি:
খাবার, প্রসাধনী, সাবান, কাপড় বা ধুলাবালি থেকে অ্যালার্জি হতে পারে, যা ত্বকে চুলকানি সৃষ্টি করে।
৩. পোকামাকড়ের কামড়:
মশা, উকুন, ছারপোকা বা মাইটসের কামড়ে চুলকানি হয়।
৪. ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ:
ফাঙ্গাল ইনফেকশন (যেমন দাদ বা ঘামাচি) হলে নির্দিষ্ট জায়গায় চুলকানি দেখা দেয়।
৫. ত্বকের রোগ:
একজিমা, সোরিয়াসিস, বা স্ক্যাবিসের মতো ত্বকের রোগেও দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি হয়।
৬. অভ্যন্তরীণ শারীরিক সমস্যা:
লিভার, কিডনি বা রক্তে শর্করার অসামঞ্জস্যতাও শরীরে চুলকানির কারণ হতে পারে।
৭. অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা ঘাম:
মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত ঘামও মাঝে মাঝে চুলকানি বাড়িয়ে দেয়।
চিকিৎসা বা পরামর্শ:
-
নিয়মিত স্নান করা ও ত্বক পরিষ্কার রাখা উচিত।
-
মাইল্ড সাবান ব্যবহার করা ভালো।
-
চুলকানি স্থানে ঘষা নয়, বরং ঠান্ডা পানি বা অ্যালোভেরা জেল লাগানো যেতে পারে।
-
যদি চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা লালচে দাগ দেখা দেয়, তবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।