137 বার দেখা হয়েছে
"পোল্ট্রি" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

পোল্ট্রির জন্য একটি সঠিক খামারের পরিবেশ তৈরি করতে হলে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিবেশ মুরগির স্বাস্থ্য, উৎপাদনশীলতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নীচে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো:


১. স্থান নির্বাচন

  • উঁচু জমি: এমন জায়গা নির্বাচন করুন যেখানে বৃষ্টির পানি জমে না।
  • বাতাস চলাচল: খামার এমন স্থানে হতে হবে যেখানে প্রাকৃতিক বাতাস চলাচল সহজ হয়।
  • পর্যাপ্ত সূর্যালোক: সূর্যের আলো খামারে প্রবেশ করতে পারে এমন স্থান নির্বাচন করুন।

২. খামারের নকশা ও গঠন

  • সঠিক দিকনির্দেশনা: খামারের ছাদ পূর্ব-পশ্চিম দিকে রাখা যাতে রোদ সরাসরি পড়ে না।
  • ভেন্টিলেশন (বায়ু চলাচল): খামারের ভেতরে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত জানালা বা ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা।
  • জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা: পানি জমে না এমন নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • সুরক্ষা ব্যবস্থা: খামারের চারপাশে বেড়া বা জাল দিয়ে সুরক্ষিত রাখা।

৩. তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ

  • তাপমাত্রা:
    • ছানা মুরগির জন্য: ৩২-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
    • বয়স্ক মুরগির জন্য: ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
  • আর্দ্রতা: ৫০-৭০% আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।

৪. মেঝে ও লিটার ব্যবস্থা

  • মেঝে পরিষ্কার রাখা: পাকা মেঝে বা শুকনো মাটি ব্যবহার করুন।
  • লিটার উপাদান: ধান ভুসি, কাঠের গুঁড়ি বা খড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • লিটার পরিবর্তন: নিয়মিত লিটার পরিবর্তন করে খামার শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে।

৫. খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা

  • সুষম খাদ্য সরবরাহ: পোল্ট্রির জন্য সঠিক পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করুন।
  • পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা: মুরগিকে সর্বদা পরিষ্কার ও টাটকা পানি সরবরাহ করুন।
  • খাদ্যদানের সরঞ্জাম: খাবার ও পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।

৬. স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা

  • ব্যবস্থাপনা:
    • খামারে ঢোকার আগে পা পরিষ্কার করা বা জীবাণুনাশক ব্যবহার করা।
    • খামারে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা।
  • জীবাণুমুক্তকরণ: নিয়মিত খামার জীবাণুমুক্ত করুন।
  • মৃত মুরগি অপসারণ: দ্রুত মৃত মুরগি অপসারণ করুন।
  • পরজীবী নিয়ন্ত্রণ: কৃমি ও পোকামাকড় থেকে মুরগিকে সুরক্ষিত রাখুন।

৭. আলো ও অন্ধকারের সময়কাল

  • ছোট মুরগি: প্রথম সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা আলো দিন।
  • বয়স্ক মুরগি: প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘণ্টা আলো এবং ৬-৮ ঘণ্টা অন্ধকার রাখুন।

৮. শব্দ ও চাপ নিয়ন্ত্রণ

  • শব্দ নিয়ন্ত্রণ: খামারে অপ্রয়োজনীয় শব্দ এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি মুরগির জন্য স্ট্রেসের কারণ হতে পারে।
  • চাপ কমানো: পর্যাপ্ত জায়গা দিন, যাতে মুরগি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে।

৯. রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা

  • নিয়মিত টিকা প্রদান: গুরুত্বপূর্ণ টিকাগুলো সময়মতো প্রয়োগ করুন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ: রোগ দেখা দিলে দ্রুত পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

১০. উৎপাদনশীলতার পর্যবেক্ষণ

  • মুরগির ওজন, খাবার গ্রহণ, এবং ডিম উৎপাদনের হার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।

সঠিকভাবে এই বিষয়গুলো মেনে চললে পোল্ট্রির জন্য স্বাস্থ্যকর এবং উৎপাদনশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর

36,465 টি প্রশ্ন

35,778 টি উত্তর

1,765 টি মন্তব্য

3,865 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
6 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 6 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 31190
গতকাল ভিজিট : 17969
সর্বমোট ভিজিট : 56277854
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...