ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
110 বার দেখা হয়েছে
"ক্রিকেট" বিভাগে করেছেন

3 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
"ডি আর এস" (DRS) হচ্ছে "ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম" (Decision Review System) এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যা ক্রিকেটে ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা। এটি খেলোয়াড়দের ভুল আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পুনঃমূল্যায়ন করতে সহায়তা করে। ডি আর এস একটি সিস্টেম যা ভিডিও প্রযুক্তি এবং সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে, যাতে ভুল সিদ্ধান্ত কমানো যায় এবং খেলার ন্যায়নিষ্ঠা বজায় থাকে।

ডি আর এস-এর প্রধান উপাদানসমূহ:

1. হক আই (Hawk-Eye):

এটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যা বলের গতি এবং দিক নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি "নো-বল" (no-ball), ব্যাট-বল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, এবং LBW (leg-before-wicket) সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করে।

2. স্পিড রাডার (Speed Radar):

বোলারের বলের গতি পরিমাপের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত "নো-বল" পরিস্থিতি যাচাই করতে সহায়তা করে।

3. থার্মাল ক্যামেরা (Thermal Camera):

এর মাধ্যমে ব্যাটসম্যানের ব্যাট এবং বলের সংস্পর্শের সঠিক সময় নির্ধারণ করা হয়। এটি ব্যাট-বল সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে সহায়তা করে।

4. উইকেট মাইক্রোফোন (Wicket Microphones):

এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে ব্যাটে অথবা উইকেটের স্টাম্পে কোনো শব্দ শোনা যায় কি না, যা ব্যাট-বল সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে সহায়তা করে।

ডি আর এস এর ব্যবহার:

ব্যাটসম্যানের পক্ষ থেকে রিভিউ:

যদি একজন ব্যাটসম্যান মনে করেন যে তাকে আউট করার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল, তবে তিনি রিভিউ চেয়ে আবেদন করতে পারেন। প্রতি ইনিংসে সাধারণত দুটি রিভিউ পাওয়ার সুযোগ থাকে।

অল রাউন্ডার বা বোলারের পক্ষ থেকে রিভিউ:

বোলার বা দলের অধিনায়কও "ডি আর এস" ব্যবহার করে সিদ্ধান্তের পুনঃমূল্যায়ন করতে পারে, যেমন "নো-বল" বা "LBW" সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে।

ডি আর এস এর কার্যকারিতা:

এটি মূলত ক্রিকেটে ভুল সিদ্ধান্ত কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এর ফলে খেলোয়াড়দের ও দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা কমে, কারণ প্রযুক্তি নিশ্চিত করতে পারে যে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

উদাহরণ:

যদি আম্পায়ার একটি "LBW" সিদ্ধান্ত দেন এবং ব্যাটসম্যান মনে করেন এটি ভুল, তিনি ডি আর এস ব্যবহার করে রিভিউ করতে পারেন। যদি প্রযুক্তি (যেমন হক আই) দেখায় যে বল প্যাডে না গিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেছে, তবে সেই রিভিউটি ব্যর্থ হবে।

বিরোধিতার বিষয়:

ডি আর এস সব সময়ই বিতর্কিত হয়নি। কিছু জায়গায়, বিশেষ করে পুরানো মাঠগুলোতে, প্রযুক্তির ব্যাবহার কম বা আংশিক হতে পারে, এবং সব ফরম্যাটে ডি আর এস প্রয়োগ হয় না। এছাড়া, এর নির্ভুলতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও মাঝে মাঝে প্রশ্ন উঠেছে।

---

ডি আর এস আজকাল ক্রিকেটের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, যা খেলার সঠিকতা এবং ন্যায়নিষ্ঠা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ক্রিকেটে ডি আর এস (DRS) এর পূর্ণরূপ হলো Decision Review System। এটি একটি প্রযুক্তিনির্ভর সিস্টেম, যা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করার সুযোগ দেয়। খেলোয়াড়রা যখন মনে করেন যে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়, তখন তারা ডি আর এস এর মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।


ডি আর এস কীভাবে কাজ করে?

ডি আর এস একটি প্রক্রিয়া, যেখানে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সঠিকতা যাচাই করা হয়। এটি সাধারণত আউট বা নট আউট সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে ব্যবহৃত হয়।

ডি আর এসের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি:

  1. হকআই (Hawk-Eye):
    এটি বলের গতিপথ নির্ধারণ করে এবং বল স্টাম্পে আঘাত করবে কিনা তা দেখায়।

  2. আল্ট্রা এজ/সনিকো (UltraEdge/Snicko):
    ব্যাট বা প্যাডে বল লাগলে শব্দ শনাক্ত করে।

  3. হট স্পট (Hot Spot):
    ইনফ্রারেড প্রযুক্তি ব্যবহার করে বল ব্যাট, প্যাড, বা অন্য কোথাও লেগেছে কিনা তা চিহ্নিত করে।


ডি আর এসের নিয়ম:

  1. আবেদন করার প্রক্রিয়া:

    • ব্যাটসম্যান বা ফিল্ডিং দল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডি আর এস চাইতে পারে।
    • এটি করতে হলে ফিল্ডিং অধিনায়ক বা ব্যাটসম্যানকে আম্পায়ারের কাছে আবেদন করতে হয়।
    • খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে নির্ধারিত সময়সীমা (১৫ সেকেন্ড) থাকে।
  2. ডি আর এসের সুযোগ:

    • প্রতিটি দল একটি ইনিংসে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডি আর এস নিতে পারে (সাধারণত ২টি)।
    • যদি ডি আর এস সফল হয়, তবে সেই রিভিউ বহাল থাকে; অন্যথায়, তা খারিজ হয়ে যায়।
  3. সফল রিভিউ:

    • মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত যদি ভুল প্রমাণিত হয়, তবে তা সংশোধন করা হয়।
  4. অন-ফিল্ড কল (Umpire's Call):

    • কিছু ক্ষেত্রে (যেমন LBW), যদি বল স্টাম্পে আঘাত করবে কিনা তা নিশ্চিত না হয়, তবে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।

ডি আর এস ব্যবহারের উদাহরণ:

  1. এলবিডব্লিউ (LBW):
    বল স্টাম্পে আঘাত করবে কিনা তা যাচাই করতে হকআই ব্যবহার করা হয়।

  2. ক্যাচ:
    আল্ট্রা এজ বা হট স্পট ব্যবহার করে দেখা হয় বল ব্যাটে লেগেছিল কিনা।

  3. রান আউট:
    ক্যামেরার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় ব্যাটসম্যান রান আউট হয়েছে কিনা।


ডি আর এসের গুরুত্ব:

  1. ন্যায্যতা নিশ্চিত করা:
    ভুল সিদ্ধান্তের কারণে কোনো দল যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করা।

  2. উচ্চতর প্রযুক্তির ব্যবহার:
    খেলার নির্ভুলতা বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।

  3. খেলার মানোন্নয়ন:
    খেলোয়াড় এবং দর্শকদের জন্য খেলার মান উন্নত করে।


উপসংহার:

ডি আর এস ক্রিকেটকে আরও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং প্রযুক্তিনির্ভর করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা বাড়ে এবং খেলোয়াড়রা ন্যায়বিচার পেতে সক্ষম হন। এটি আধুনিক ক্রিকেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ক্রিকেটে ডিআরএস (DRS) এর মানে হলো ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (Decision Review System)। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। খেলোয়াড় বা আম্পায়ার, উভয়ের প্রয়োজনে এই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়।

ডিআরএস কিভাবে কাজ করে?

মাঠের আম্পায়ার যখন কোনো সিদ্ধান্ত দেন (যেমন আউট বা নট আউট), তখন কোনো দল সেই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে ডিআরএস এর জন্য আবেদন করতে পারে। এই আবেদন সাধারণত ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে করতে হয়। এরপর তৃতীয় আম্পায়ার (টিভি আম্পায়ার) বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে সেই সিদ্ধান্তটি পুনরায় বিবেচনা করেন। এই প্রযুক্তিগুলো হলো:

 * হক-আই (Hawk-Eye): এটি একটি কম্পিউটারাইজড ট্র্যাকিং সিস্টেম, যা বলের গতিপথ এবং সম্ভাব্য মুভমেন্ট ট্র্যাক করে। এর মাধ্যমে বলটি কোথায় পিচ করেছে, কোন দিকে যাচ্ছে এবং স্ট্যাম্পে লাগবে কিনা, তা অনুমান করা যায়।

 * হট স্পট (Hot Spot): এটি ইনফ্রারেড ইমেজিং এর মাধ্যমে দেখায় বলটি ব্যাট বা প্যাডে কোথায় স্পর্শ করেছে।

 * আল্ট্রাএজ (UltraEdge/Snickometer): এটি একটি সাউন্ড ডিটেকশন সিস্টেম। যখন বল ব্যাট বা প্যাডের খুব কাছ দিয়ে যায়, তখন মাইক্রোফোনের মাধ্যমে সূক্ষ্ম শব্দ ধরা পড়ে এবং গ্রাফের মাধ্যমে তা দেখানো হয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায় বল ব্যাটে লেগেছে কিনা।

এই প্রযুক্তিগুলোর সাহায্য নিয়ে তৃতীয় আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করেন এবং প্রয়োজন মনে করলে তা পরিবর্তন করতে পারেন।

ডিআরএস এর নিয়ম:

 * টেস্ট ম্যাচে প্রতিটি দল ইনিংস প্রতি ৩টি করে রিভিউ নিতে পারে।

 * ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রতিটি দল ইনিংস প্রতি ১টি করে রিভিউ নিতে পারে।

 * যদি রিভিউ সফল হয়, অর্থাৎ তৃতীয় আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন, তাহলে সেই দলের রিভিউ সংখ্যা অক্ষত থাকে। কিন্তু রিভিউ বিফল হলে, অর্থাৎ মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে, সেই দলের রিভিউ সংখ্যা কমে যায়।

 * "আম্পায়ার্স কল" (Umpire's Call) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন হক-আই দেখায় যে বল স্ট্যাম্পে লাগতে পারে, কিন্তু সামান্য ব্যবধানে, তখন মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। একেই আম্পায়ার্স কল বলা হয়।

ডিআরএস এর উদ্দেশ্য:

ডিআরএস এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো খেলার মধ্যে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের পরিমাণ কমানো এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে খেলা আরও স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হয়।

আশা করি, ডিআরএস সম্পর্কে আপনার ধারণা স্পষ্ট হয়েছে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

2 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
0 টি উত্তর
0 টি উত্তর
10 জানুয়ারি "ক্রিকেট" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Riyad-Hossain
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
9 জানুয়ারি "ফুটবল" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Riyad-Hossain

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,754 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
6 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 6 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 28140
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51900481
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...