ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
51 বার দেখা হয়েছে
"গবেষণা" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

গবেষণায় নির্ভরযোগ্যতা (Reliability) এবং প্রমাণযোগ্যতা (Validity)—এই দুটি ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হলেও তারা ভিন্ন দিক নির্দেশ করে। নিচে তাদের পার্থক্য বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:


১. নির্ভরযোগ্যতা (Reliability):

নির্ভরযোগ্যতা বোঝায়, কোনো গবেষণায় উপাত্ত বা ফলাফল কতটা সুসঙ্গত (consistent) এবং পুনরাবৃত্তিযোগ্য (repeatable)

মূল বৈশিষ্ট্য:

  • সামঞ্জস্য: গবেষণা যদি বারবার করা হয়, তাহলে কি একই ফলাফল পাওয়া যাবে?
  • স্থিতিশীলতা: সময়ের সাথে সাথে ফলাফল কি একই রকম থাকে?
  • নির্ভুলতা: উপাত্ত সংগ্রহের প্রক্রিয়া বা যন্ত্র কতটা নির্ভুলভাবে কাজ করে?

উদাহরণ:

একটি থার্মোমিটার যদি বারবার একই তাপমাত্রা দেখায়, তবে এটি নির্ভরযোগ্য।

পরীক্ষার ধরণ:

  1. টেস্ট-রিটেস্ট (Test-Retest): একই টেস্ট বারবার করেও যদি একই ফলাফল আসে।
  2. অভ্যন্তরীণ সামঞ্জস্য (Internal Consistency): একই পরীক্ষার অংশগুলো যদি সঙ্গতিপূর্ণ ফলাফল দেয়।
  3. আন্তঃপর্যবেক্ষক নির্ভরযোগ্যতা (Inter-Rater Reliability): বিভিন্ন পর্যবেক্ষকের রায় বা সিদ্ধান্ত একরকম হলে নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত হয়।

২. প্রমাণযোগ্যতা (Validity):

প্রমাণযোগ্যতা বোঝায়, গবেষণায় যা পরিমাপ করা হচ্ছে তা আসলেই কি সঠিকভাবে প্রকৃত ধারণা বা উদ্দেশ্য পরিমাপ করছে?

মূল বৈশিষ্ট্য:

  • প্রাসঙ্গিকতা: গবেষণার ফলাফল আসল উদ্দেশ্যের সাথে কতটা প্রাসঙ্গিক?
  • সঠিকতা: গবেষণা কি বাস্তবতা বা প্রকৃত অবস্থা সঠিকভাবে প্রতিফলিত করছে?
  • উপযোগিতা: গবেষণার ফলাফল কি ব্যবহারিক দিক থেকে কার্যকর?

উদাহরণ:

একটি থার্মোমিটার যদি প্রকৃত তাপমাত্রা সঠিকভাবে পরিমাপ করে, তবে এটি প্রমাণযোগ্য।

পরীক্ষার ধরণ:

  1. বিষয়বস্তুর বৈধতা (Content Validity): প্রশ্নপত্র বা টুলের বিষয়বস্তু গবেষণার উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।
  2. গঠনমূলক বৈধতা (Construct Validity): গবেষণা প্রকৃত ধারণা বা কাঠামো সঠিকভাবে পরিমাপ করছে কি না।
  3. মান্য বৈধতা (Criterion Validity): গবেষণার ফলাফল কি বাস্তব উপাত্তের সাথে তুলনামূলকভাবে প্রমাণিত হতে পারে?

৩. মূল পার্থক্য:

বৈশিষ্ট্য নির্ভরযোগ্যতা (Reliability) প্রমাণযোগ্যতা (Validity)
সংজ্ঞা ফলাফল কতটা পুনরাবৃত্তিযোগ্য বা সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলাফল কি প্রকৃত উদ্দেশ্য বা ধারণাকে সঠিকভাবে পরিমাপ করছে?
মূল ফোকাস স্থায়িত্ব এবং সামঞ্জস্য। সঠিকতা এবং যথার্থতা।
উদাহরণ একটি থার্মোমিটার প্রতিবার একই তাপমাত্রা দেখায়। একটি থার্মোমিটার সঠিক তাপমাত্রা পরিমাপ করে।
পরীক্ষার ধরণ টেস্ট-রিটেস্ট, আন্তঃপর্যবেক্ষণ নির্ভরযোগ্যতা। বিষয়বস্তু, গঠনমূলক ও মান্য বৈধতা পরীক্ষা।

৪. সম্পর্ক:

  • নির্ভরযোগ্যতা ছাড়া প্রমাণযোগ্যতা অর্জন করা যায় না।
  • তবে, একটি টুল নির্ভরযোগ্য হতে পারে, কিন্তু সেটি প্রমাণযোগ্য নাও হতে পারে।
    • উদাহরণ: একটি মানদণ্ড যদি বারবার ভুল ফলাফল দেয়, তবে এটি নির্ভরযোগ্য কিন্তু প্রমাণযোগ্য নয়।

উপসংহার:

নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে যে গবেষণার ফলাফল বারবার একরকম আসে, আর প্রমাণযোগ্যতা নিশ্চিত করে যে গবেষণাটি সঠিকভাবে যা পরিমাপ করতে চায় তা-ই পরিমাপ করছে। কার্যকর গবেষণার জন্য এই দুটি গুণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

0 টি উত্তর
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
9 নভেম্বর, 2023 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Muaz_Hajare
2 টি উত্তর

36,000 টি প্রশ্ন

35,255 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
2 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 2 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 15013
গতকাল ভিজিট : 11577
সর্বমোট ভিজিট : 51869879
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...