74 বার দেখা হয়েছে
"তথ্য ও প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ডাটা অ্যানালিটিক্স এবং বিগ ডেটা ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। বিগ ডেটা হলো বিশাল পরিমাণের ডেটা, যা প্রথাগত ডেটা প্রসেসিং সফটওয়্যার দিয়ে সহজে প্রক্রিয়া করা যায় না। আর ডেটা অ্যানালিটিক্স হলো সেই ডেটা থেকে অর্থবহ তথ্য বের করার প্রক্রিয়া।

সহজ ভাষায়, বিগ ডেটা হলো কাঁচামাল, আর ডেটা অ্যানালিটিক্স হলো সেই কাঁচামাল থেকে মূল্যবান পণ্য তৈরি করার পদ্ধতি।

ডাটা অ্যানালিটিক্স এবং বিগ ডেটার মধ্যে সম্পর্ক:

 * বিগ ডেটা ডেটা অ্যানালিটিক্সের ভিত্তি তৈরি করে। বিশাল ডেটা সেট বিশ্লেষণ করেই নতুন প্রবণতা, প্যাটার্ন, এবং অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া যায়।

 * ডেটা অ্যানালিটিক্স বিগ ডেটাকে ব্যবহারযোগ্য তথ্যে রূপান্তরিত করে, যা ব্যবসা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক।

 * বিগ ডেটার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ডেটা অ্যানালিটিক্সের উন্নত কৌশল এবং প্রযুক্তির প্রয়োজন।

সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত সমস্যা এবং সমাধান:

বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্সের ক্ষেত্রে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা যায়, যা নিম্নলিখিত উপায়ে সমাধান করা যেতে পারে:

 * ডেটার বিশালতা (Volume):

   * সমস্যা: ডেটার পরিমাণ এত বেশি যে প্রথাগত ডেটাবেস সিস্টেমগুলি হিমশিম খায়।

   * সমাধান:

     * ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং: ডেটা এবং প্রসেসিং একাধিক কম্পিউটারে ভাগ করে দেওয়া হয়, যেমন Hadoop এবং Spark এর মাধ্যমে।

     * ক্লাউড কম্পিউটিং: অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস (AWS), গুগল ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম (GCP), এবং মাইক্রোসফট অ্যাজুরের মতো ক্লাউড প্ল্যাটফর্মগুলি স্কেলেবল স্টোরেজ এবং কম্পিউটিং রিসোর্স সরবরাহ করে।

 * ডেটার বৈচিত্র্য (Variety):

   * সমস্যা: ডেটা বিভিন্ন ফরম্যাটে আসতে পারে - স্ট্রাকচার্ড (যেমন ডেটাবেস), আনস্ট্রাকচার্ড (যেমন টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও), এবং সেমি-স্ট্রাকচার্ড (যেমন JSON, XML)।

   * সমাধান:

     * ডেটা লেক: বিভিন্ন ফরম্যাটের ডেটা একটি সেন্ট্রাল রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করা হয়।

     * নোএসকিউএল ডেটাবেস: মঙ্গোডিবি এবং ক্যাসান্ড্রার মতো নোএসকিউএল ডেটাবেসগুলি বিভিন্ন ধরনের ডেটা হ্যান্ডেল করতে পারে।

 * ডেটার গতি (Velocity):

   * সমস্যা: ডেটা খুব দ্রুত তৈরি হয়, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ফিড বা সেন্সর ডেটা।

   * সমাধান:

     * রিয়েল-টাইম ডেটা প্রসেসিং: স্ট্রিম প্রসেসিং ইঞ্জিন যেমন Apache Kafka এবং Apache Flink ব্যবহার করে ডেটা তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই প্রক্রিয়া করা হয়।

     * ইন-মেমরি কম্পিউটিং: ডেটা র্যামে সংরক্ষণ করে দ্রুত অ্যাক্সেস এবং প্রসেসিং করা হয়।

 * ডেটার সত্যতা (Veracity):

   * সমস্যা: ডেটার গুণমান এবং নির্ভুলতা নিশ্চিত করা কঠিন।

   * সমাধান:

     * ডেটা ক্লিনিং এবং প্রিপ্রসেসিং: ডেটা থেকে ভুল, অসম্পূর্ণ, এবং অসঙ্গতিপূর্ণ ডেটা সরানো হয়।

     * ডেটা ভ্যালিডেশন: ডেটার সঠিকতা যাচাই করার জন্য নিয়ম এবং অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়।

 * ডেটার মূল্য (Value):

   * সমস্যা: বিশাল ডেটা থেকে প্রয়োজনীয় এবং মূল্যবান তথ্য বের করা চ্যালেঞ্জিং।

   * সমাধান:

     * অ্যাডভান্সড অ্যানালিটিক্স: মেশিন লার্নিং, ডেটা মাইনিং, এবং স্ট্যাটিস্টিক্যাল মডেলিং এর মতো কৌশল ব্যবহার করে ডেটা থেকে প্যাটার্ন এবং অন্তর্দৃষ্টি বের করা হয়।

     * ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন: চার্ট, গ্রাফ, এবং ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে ডেটা উপস্থাপন করে সহজে বোঝা যায়।

এই প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলির সঠিক সমাধানের মাধ্যমে, ডেটা অ্যানালিটিক্স বিগ ডেটার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারে এবং ব্যবসা, বিজ্ঞান, এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে

 গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর

36,269 টি প্রশ্ন

35,483 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,803 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
6 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 6 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 3611
গতকাল ভিজিট : 9661
সর্বমোট ভিজিট : 53134607
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...