বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির কিছু মূল কারণ রয়েছে:
1. **ভবিষ্যদ্বাণীযোগ্য মুদ্রাস্ফীতি:**
মুদ্রাস্ফীতি মূলত সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্যের অভাবে সৃষ্টি হয়। যদি চাহিদা বেশি থাকে এবং সরবরাহ তার তুলনায় কম হয়, তাহলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়।
2. **এনার্জি মূল্য বৃদ্ধি:**
বিশেষ করে তেল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি হলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়, যা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি হয়।
3. **সরবরাহ শৃঙ্খলার বিঘ্ন:**
কোভিড-১৯ মহামারি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সরবরাহ শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে, পণ্য ও সেবার সরবরাহ কমে যায়, ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়।
4. **মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি:**
সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি বেশি পরিমাণে টাকা ছাপায়, অর্থাৎ মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, তবে বাজারে অধিক পরিমাণ অর্থ থাকার কারণে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়, যা মুদ্রাস্ফীতি তৈরি করে।
5. **বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকট:**
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি হলে (যেমন, বাণিজ্য যুদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞা), এটি সরবরাহের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়, ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়।
6. **কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি:**
কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেলে উৎপাদন খরচও বাড়ে, যা শেষ পর্যন্ত খুচরা মূল্যে প্রতিফলিত হয় এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়।
7. **সামাজিক বা রাজনৈতিক অস্থিরতা:**
কোনো দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বা অন্যান্য বিশৃঙ্খলা থাকলে এটি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করতে পারে।
এগুলি ছাড়া, অন্যান্য অনেক কারণও বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য দায়ী হতে পারে।