মোবাইল ফোনে 5G প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ডেটা ট্রান্সফার স্পিডে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়। এর প্রধান পরিবর্তনগুলো হলো:
1. উচ্চতর ডাউনলোড ও আপলোড স্পিড:
4G LTE নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ স্পিড সাধারণত ১০০ Mbps থেকে ১ Gbps পর্যন্ত হতে পারে।
5G নেটওয়ার্কে ডেটা ট্রান্সফার স্পিড তাত্ত্বিকভাবে ২০ Gbps পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা 4G-এর চেয়ে অন্তত ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি।
2. কম ল্যাটেন্সি:
4G-তে ল্যাটেন্সি সাধারণত ৩০-৫০ মিলিসেকেন্ড, যেখানে
5G-তে ল্যাটেন্সি মাত্র ১-৫ মিলিসেকেন্ড, যা রিয়েল-টাইম কমিউনিকেশন এবং অনলাইন গেমিংয়ের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
3. বেশি ডিভাইস সংযোগের সক্ষমতা:
5G নেটওয়ার্ক একই সময় অনেক বেশি ডিভাইসের (প্রায় ১ মিলিয়ন ডিভাইস প্রতি বর্গকিলোমিটারে) সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম, যা স্মার্ট সিটি ও IoT (Internet of Things)-এর মতো প্রযুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
4. ডেটা ব্যবহারের দক্ষতা:
5G নেটওয়ার্ক ডেটা ব্যবহারে আরও কার্যকর, অর্থাৎ একই ব্যান্ডউইথে বেশি ডেটা স্থানান্তর করতে পারে।
উপসংহার:
5G প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ডেটা ট্রান্সফার স্পিড বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে, ল্যাটেন্সি কমবে এবং অধিক সংখ্যক ডিভাইস দ্রুত সংযুক্ত হতে পারবে, যা ভবিষ্যতের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।