ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
132 বার দেখা হয়েছে
"ফতোয়া" বিভাগে করেছেন
আমি কোন ব্যক্তির সম্পদ বন্ধক রেখে টাকা দিব। সে টাকা যতদিন ফেরত দিবে না ততদিন সম্পদ আমি ভোগ করব। এটা কি সুদের পর্যায়ে পড়বে?

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

হ্যাঁ, এটি সুদের পর্যায়ে পড়বে। কেননা বন্ধকি জমি ভোগ করা সম্পূর্ণ নাজায়েয। এটি মূলত ঋণ প্রদান করে বিনিময়ে সুদ গ্রহণেরই একটি প্রকার। মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক-এর এক বর্ণনায় এসেছে, ইবনে সীরীন রাহ. বলেন, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর নিকট এসে বললেন, এক লোক আমার নিকট একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, অতঃপর আমি তাতে আরোহণ করেছি। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বললেন-

مَا أَصَبْتَ مِنْ ظَهْرِهَا فَهُوَ رِبًا.

তুমি উক্ত ঘোড়ার উপর যে পরিমাণ আরোহণ করেছ তা সুদ হয়েছে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ১৫০৭১)


আর ঋণের অর্থ থেকে বছর প্রতি ৫০০/১০০০ টাকা কর্তন করার শর্ত করলেও তা জায়েয হবে না। কারণ বন্ধকী বস্তু থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য নামমাত্র ভাড়া দিয়ে তার ভোগ-দখল একটি হিলা বা ছুতা মাত্র। সকলেই জানে যে, জমি মালিককে ঋণ না দেয়া হলে এত কম মূল্যে ভাড়া দিত না।


প্রকাশ থাকে যে, উক্ত কারবার বৈধভাবে করতে চাইলে শুরু থেকেই বন্ধকি চুক্তি না করে ভাড়া বা লীজ চুক্তি করবে। যার বিবরণ হল, জমির মালিক জমি ভাড়া দিবে। তার যত টাকা প্রয়োজন সেজন্য যত বছর ভাড়া দিতে হয় একত্রে তত বছরের জন্য ভাড়া দিবে। যেমন-এক বিঘা জমির বার্ষিক ভাড়া ৫ হাজার টাকা। মালিকের ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন। তাহলে সে ৪ বছরের জন্য জমি ভাড়া দিবে। এক্ষেত্রে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা নিয়ে নিবে। এক্ষেত্রে জমির ভাড়া স্থানীয় ভাড়া থেকে সামান্য কম বেশিও হতে পারে। এরপর ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে অর্থ দাতা জমি ফেরত দিবে, কিন্তু প্রদেয় টাকা ফেরত পাবে না। অবশ্য সময়ের আগে ফেরত দিলে যে কয়দিন ভাড়ায় ছিল সে পরিমাণ ভাড়া কর্তন করে অবশিষ্ট টাকা ভাড়াটিয়া ফেরত পাবে।


অথবা বন্ধক গ্রহীতা বন্ধক রাখা বস্তু থেকে উপকৃত হওয়ার বিনিময়ে বন্ধক দাতাকে বন্ধককৃত বস্তুর ন্যহ্য ভাড়া আদায় করে দিবে। তাহলে বন্ধক গ্রহীতার জন্য উক্ত জমি ব্যবহার করা জায়েয হবে।


উল্লেখ্য, যদি জমি ভাড়া নেয়াকে ঋনের জন্য শর্ত হিসেবে ধরে নেয় তাহলে উক্ত চুক্তিটি না জায়েয হয়ে যাবে। ঋন ও ইজারা দুইটি চুক্তিকে একটি অপরটি থেকে একেবারে ভিন্ন রাখতে হবে।

সূত্র: রদ্দুল মুহতার ১০/৮৩; আদ্দুররুল মুখতার ১০/৮২; হেদায়া ৪/৫২২; আলবাহরুর রায়েক ৮/৪৩৮; ফাতাওয়া হাক্কানিয়া ৬/২২৮; ইলামুল মুয়াক্কিয়ীন ৪/৩৯; আল-মাওসায়াতুল ফিক্বহিয়্যাহ ২৩/১৮৩


এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

0 টি উত্তর
15 জুন, 2024 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Jara
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
7 নভেম্বর, 2020 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
5 আগস্ট, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Layla Aktar
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
7 সেপ্টেম্বর, 2020 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Shakil

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
2 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 2 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 4190
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51876547
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...