মনে রাখতে হবে যে,মহিলাদের মাসিক একটি স্বাভাবিক নিয়ম। এটা মহিলাদের সুস্থ্যতা ও স্বাভাবিকতার নিদর্শন।এতে করে তার শরীর থেকে নাপাক ও ক্ষতিকর রক্তগুলো বেরিয়ে যায়।তাই ওষুধ বা পিল খেয়ে হায়েজ বন্ধ রাখা উচিত নয়।এতে করে তার শারিরীক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। আল্লাহ তাআলা এ অবস্থায় মহিলাদের মা’জুর হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।তাই এ দিন সমূহে নামায ও রোযা না করায় আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কোন পাকরাও নেই। নামায মাফ।যদিও রোযা রমজান পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে। এতে করে সওয়াবের মাঝে কোন কমতি হয় না। তাই উচিত হলো এ স্বাভাবিকতাকে মেনে নেয়া। এভাবে ওষধু খেয়ে হায়েজ বন্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই।তবে কোন মহিলা তার হায়েজের রক্ত আসার আগেই ওষুধ খেয়ে হায়েজ বন্ধ করে দেয়। তার রক্ত না আসে।তাহলে তাকে পবিত্র ধরা হবে।সেই হিসেবে তার নামায ও রোযা সবই শুদ্ধ হবে।পরবর্তীতে আর সেসব নামায বা রোযার কাজা করার কোন প্রয়োজন নেই।তবে যদি রক্ত শুরু হবার পর ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে অন্য মাসে যে কয়দিন হায়েজ আসতো, সেই কয়দিন হায়েজের মাঝেই গণ্য হবে। সেই কয়দিন রোযা রাখলেও রোযা হবে না।পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।