স্পিরুলিনা অপুষ্টি জনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, গেঁটেবাত, হাঁপানি, রক্তে অধিক গ্লুকোজ জনিত উপসর্গ, রক্ত স্বল্পতা, এলার্জিক রাইনাইটিস রােগের প্রতিরােধ ও চিকিসায় এবং রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়। স্পিরুলিনা চোখ ও ত্বকের সুস্থতা অক্ষুন্ন রাখতে সাহায্য করে।
স্পিরুলিনা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া বিশ্বের সর্বোচ্চ পুষ্টির উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে যা ক্যালরিমুক্ত। এছাড়াও এতে যথেষ্ট পরিমাণ বি-১২ ভিটামিন থাকে যা আমাদের সুস্থ স্নায়ুতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়। স্পিরুলিনা লৌহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা লোহিত রক্তকনিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি যে নিজেই শুধু প্রোটিনের উৎস তা নয় বরং এর পুষ্টি উপাদান অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত আমিষকে শরীরের গ্রহণ উপযোগী করতে সাহায্য করে।
স্পিরুলিনায় এসেনশিয়াল অ্যামাইনো এসিড থাকে যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরী। এসব অ্যামাইনো এসিড যেহেতু আমাদের শরীরে উৎপন্ন হয় না তাই এদের বাইরে থেকেই খাদ্যের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হয়।
স্পিরুলিনায় ১০০ টির মত পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। এতে ফ্যাটি এসিড থাকে যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।
কিভাবে কাজ করে-
স্পিরুলিনার ৬০ শতাংশই আমিষ যা আমাদের বেড়ে উঠার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এছাড়াও এতে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। বিপুল পরিমাণ পুষ্টি আর সহজপ্রাচ্য যোগ্যতায় স্পিরুলিনা অপুষ্টি রোধে অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।
প্রতি ১০ গ্রাম স্পিরুলিনা আমাদের প্রতিদিনকার চাহিদা অনুযায়ী ৭০% লৌহ সরবরাহ করে। লৌহের পাশাপাশি এতে ম্যাগনেসিয়াম আর খনিজ উপাদান থাকাতে এটি আয়রন সাপ্লিমেন্টের চেয়ে রক্তশূন্যতা রোধে বহুগুণ বেশী কার্যকর।
স্পিরুলিনা মাতৃদুগ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জি.এল.এ (গামা লিনোলেনিক এসিড) বিদ্যমান, যা শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
এটি পেটের উপকারী ব্যাক্টেরিয়াসমূহকে বেড়ে উঠতে উৎসাহিত করে, যা আমাদের হজম শক্তিকে বাড়িয়ে পেটের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।