ক্লোনিং দুই প্রকার:
১) থেরাপিউটিক ক্লোনিং:
* এই প্রক্রিয়ায়, রোগীর শরীর থেকে কোষ সংগ্রহ করা হয় এবং তারপর সেগুলিকে ক্লোন করা হয়।
* এই ক্লোন কোষগুলির ব্যবহার রোগীর ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু বা অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে করা হয়।
* থেরাপিউটিক ক্লোনিং এখনও গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে, তবে এটি ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য অসুস্থতা চিকিৎসার জন্য একটি সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে বিবেচিত হয়।
২) প্রজনন ক্লোনিং:
* এই প্রক্রিয়ায়, একটি জীবের ডিম্বাণু থেকে নিউক্লিয়াস অপসারণ করা হয় এবং তারপর সেই ডিম্বাণুতে অন্য একটি জীবের কোষের নিউক্লিয়াস স্থাপন করা হয়।
* এই ডিম্বাণুটি তারপর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয় এবং একটি সন্তানকে জন্ম দেয় যার জিনগত গঠন দাতা জীবের সাথে অভিন্ন।
* প্রজনন ক্লোনিং বিতর্কিত একটি বিষয় এবং বেশিরভাগ দেশেই এটি নিষিদ্ধ।
অন্যান্য ধরণের ক্লোনিং:
* জিন ক্লোনিং: এটি একটি নির্দিষ্ট জিনের একটি নকল তৈরির প্রক্রিয়া।
* ডিএনএ ক্লোনিং: এটি একটি নির্দিষ্ট ডিএনএ অংশের একটি নকল তৈরির প্রক্রিয়া।
* সেল ক্লোনিং: এটি একটি নির্দিষ্ট কোষের একটি নকল তৈরির প্রক্রিয়া।
ক্লোনিং-এর নৈতিকতা:
ক্লোনিং একটি জটিল বিষয় যার অনেক নৈতিক প্রভাব রয়েছে। থেরাপিউটিক ক্লোনিং নিয়ে নৈতিক আপত্তি তুলনামূলকভাবে কম, তবে প্রজনন ক্লোনিং নিয়ে ব্যাপক নৈতিক বিতর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশে ক্লোনিং:
বাংলাদেশে ক্লোনিং আইনিভাবে নিষিদ্ধ। ২০০২ সালে জীবপ্রযুক্তি নীতি, ২০০২ প্রণীত হয়েছিল যা ক্লোনিং সহ জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে।