অসমোরেগুলেশন হল জীবের দেহের তরলগুলির অসমোটিক চাপের সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ, যা অস্মোরেসেপ্টর দ্বারা সনাক্ত করা হয়, জীবের জলের উপাদানের হোমিওস্ট্যাসিস বজায় রাখার জন্য; অর্থাৎ, এটি তরল ভারসাম্য এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ঘনত্ব বজায় রাখে যাতে শরীরের তরলগুলি খুব বেশি পাতলা বা ঘনীভূত না হয়।
অসমোটিক চাপ হল একটি তরল থেকে অন্য তরলে জলের প্রবাহের প্রবণতার পরিমাপ। একটি তরলের অসমোটিক চাপ যত বেশি, জল সেই তরলে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
অসমোরেগুলেশনের মাধ্যমে, জীবগুলি তাদের দেহের তরলগুলির অসমোটিক চাপকে পরিবেশের অসমোটিক চাপের সাথে সামঞ্জস্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি মিষ্টি পানির মাছকে তার দেহের তরলগুলিকে মিষ্টি পানির অসমোটিক চাপের সাথে সামঞ্জস্য করতে হবে। এটি করতে, মাছ অতিরিক্ত জল পান করে এবং তার মূত্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত জল বের করে দেয়।
অসমোরেগুলেশনের জন্য বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া জড়িত। এই প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
পুনঃশোষণ: বৃক্কগুলি গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশনের মাধ্যমে রক্ত থেকে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইটগুলি ফিল্টার করে। পুনঃশোষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, বৃক্কগুলি অতিরিক্ত জল এবং ইলেক্ট্রোলাইটগুলিকে রক্ত প্রবাহে ফিরিয়ে দেয়।
-
অসমোটিক বিনিময়: ত্বক, শ্বাসযন্ত্রের ঝিল্লি এবং রেচন ব্যবস্থার অন্যান্য অংশগুলি জল এবং ইলেক্ট্রোলাইটগুলির বিনিময়ে কাজ করে। এই প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে, জীবগুলি তাদের দেহের তরলগুলির অসমোটিক চাপকে পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য করতে পারে।
-
হরমোন: কিছু হরমোন অসমোরেগুলেশনে ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যান্টিডিউরেটিক হরমোন (ADH) বৃক্কগুলিকে মূত্রের মাধ্যমে জল পুনঃশোষণ করতে উৎসাহিত করে।
অসমোরেগুলেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়। অসমোরেগুলেশনে ব্যর্থতা পানিশূন্যতা, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে পরিচালিত করতে পারে।