যে সকল পদার্থ কোন বিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকলে অণুঘটকের ক্ষমতা হ্রাস এমনকি লোপ পেয়ে যায় তাদের অণুঘটক বিষ (catalyst poison) বলে। ধূলিকণা, গন্ধক, আর্সেনিক অক্সাইড ইত্যাদি অনেক বিক্রিয়ায় অণুঘটক বিষ হিসেবে কাজ করে। যেমন, সালফিউরিক অ্যাসিড প্রস্তুতির সময় প্ল্যাটিনামের উপস্থিতিতে সালফার ডাই অক্সাইডের জারনের সময় সামান্য আর্সেনিক অক্সাইড উপস্থিত থাকলে বিক্রিয়ার গতি হ্রাস পেয়ে যায়।
প্রভাবক বিষগুলির প্রভাব বিভিন্ন হতে পারে। কিছু প্রভাবক বিষ অনুঘটকের পৃষ্ঠের সাথে আবদ্ধ হয়ে তার সক্রিয় অবস্থানগুলি দখল করে নেয়, যার ফলে অনুঘটক তার কার্যকারিতা হারায়। অন্য প্রভাবক বিষ অনুঘটকের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে নতুন পদার্থ তৈরি করে, যা অনুঘটকের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।
প্রভাবক বিষগুলির উপস্থিতি অনুঘটন বিক্রিয়াগুলির জন্য একটি সমস্যা হতে পারে। প্রভাবক বিষগুলিকে দূর করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন, বিক্রিয়া মিশ্রণটি থেকে ধূলিকণা অপসারণ করা, বিক্রিয়া মিশ্রণটিকে পরিশোধন করা, বা অনুঘটককে পুনর্সক্রিয়ন করা।
প্রভাবক বিষগুলির কয়েকটি উদাহরণ হল:
-
সালফিউরিক অ্যাসিড প্রস্তুতির ক্ষেত্রে, আর্সেনিক অক্সাইড, অ্যামোনিয়াম সালফাইড, এবং ফসফরাস অক্সাইড প্রভাবক বিষ হিসেবে কাজ করে।
-
হাইড্রোজেনেশন বিক্রিয়ায়, সালফার, নাইট্রোজেন, এবং অক্সিজেন প্রভাবক বিষ হিসেবে কাজ করে।
-
ফোটোকেমিক্যাল বিক্রিয়ায়, ধূলিকণা, গ্যাস, এবং তরল প্রভাবক বিষ হিসেবে কাজ করে।
প্রভাবক বিষগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি অনুঘটন বিক্রিয়াগুলির ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।