শ্বসন হার হল এক মিনিটে শ্বাসের সংখ্যা। এটিকে প্রতি মিনিটে শ্বাসযন্ত্রের চক্রের সংখ্যা হিসেবেও প্রকাশ করা হয়। একটি শ্বাসযন্ত্রের চক্রে একটি শ্বাস-প্রশ্বাস এবং একটি শ্বাস-প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকে।
শ্বসন হার বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
-
বয়স: শিশুদের শ্বসন হার প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বেশি থাকে।
-
শারীরিক কার্যকলাপ: শারীরিক কার্যকলাপের সময় শ্বসন হার বৃদ্ধি পায়।
-
তাপমাত্রা: উচ্চ তাপমাত্রায় শ্বসন হার বৃদ্ধি পায়।
-
মানসিক অবস্থা: উদ্বেগ বা উত্তেজনার সময় শ্বসন হার বৃদ্ধি পায়।
-
কিছু রোগ: কিছু রোগ, যেমন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বা হৃদরোগ, শ্বসন হারকে প্রভাবিত করতে পারে।
শ্বসন হার একটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক লক্ষণ। এটি শরীরের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে পারে।
সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্কের শ্বসন হার প্রতি মিনিটে ১২-১৬টি শ্বাসযন্ত্রের চক্র হয়। তবে, এই হার ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে।
শ্বসন হার পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি সাধারণ পদ্ধতি হল একটি সেকেন্ডোমিটার ব্যবহার করা। সেকেন্ডোমিটার দিয়ে এক মিনিটের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস এবং শ্বাস-প্রত্যাহারের সংখ্যা গণনা করা হয়।
অন্যান্য পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
একটি স্টেথোস্কোপ ব্যবহার করে শ্বসন শব্দ শুনে শ্বসন হার গণনা করা।
-
একটি ইলেকট্রনিক শ্বসন ঘড়ি ব্যবহার করে শ্বসন হার গণনা করা।
শ্বসন হার পরিমাপ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পরীক্ষা। এটি শরীরের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করতে পারে।