আয়ন হলো নিট বৈদ্যুতিক আধানযুক্ত কণিকা, পরমাণু বা অনু। সাধারণত ইলেকট্রনের আধান ঋণাত্মক ধরা হয়। একক আয়নের ঋণাত্মক আধান সাধারণত প্রোটনের ধনাত্মক আধানের সমান ও বিপরীত। ইলেকট্রন ও প্রোটনের সংখ্যা সমান না হওয়ার কারনে আয়নের নিট আধান অশূন্য হয়।
আয়ন দুটি প্রধান ধরনের হতে পারে: ধনাত্মক আয়ন এবং ঋণাত্মক আয়ন। ধনাত্মক আয়নকে ক্যাটায়ন বলা হয় এবং ঋণাত্মক আয়নকে অ্যানায়ন বলা হয়।
যখন একটি পরমাণু একটি বা একাধিক ইলেকট্রন হারায় তখন এটি একটি ধনাত্মক আয়ন হয়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, সোডিয়াম পরমাণু একটি ইলেকট্রন হারালে এটি সোডিয়াম ক্যাটায়ন (Na+) হয়ে ওঠে।
যখন একটি পরমাণু একটি বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে তখন এটি একটি ঋণাত্মক আয়ন হয়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, ক্লোরিন পরমাণু একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করলে এটি ক্লোরিন অ্যানায়ন (Cl-) হয়ে ওঠে।
আয়নগুলি প্রায়শই রাসায়নিক বিক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড একসাথে মিশ্রিত করা হয়, তখন সোডিয়াম আয়ন এবং ক্লোরিন আয়ন একটি স্থিতিশীল আয়নিক যৌগ, সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) তৈরি করতে একসাথে মিলিত হয়।
আয়নগুলি জীববিজ্ঞানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, মানবদেহে রক্তের লবণ, ইলেক্ট্রোলাইট হিসাবে পরিচিত,আয়নগুলির সমন্বয়ে গঠিত। ইলেক্ট্রোলাইটগুলি কোষের ঝিল্লির মধ্য দিয়ে তরল প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং স্নায়ু সংকেত প্রেরণে সহায়তা করে।