রাষ্ট্র গঠনের উপাদান গুলো হলো:
-
জনসংখ্যা: রাষ্ট্রের একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী স্থায়ী জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রের জনসংখ্যা বলা হয়। এই জনসংখ্যা একটি ঐক্যবদ্ধ সত্তা হিসেবে গণ্য হয় এবং তাদের মধ্যে একটি সাধারণ আত্মচেতনা ও পরিচয় থাকে।
-
ভূখণ্ড: রাষ্ট্রের জনসংখ্যা যে নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাস করে তাকে রাষ্ট্রের ভূখণ্ড বলা হয়। এই ভূখণ্ড একটি সুনির্দিষ্ট সীমানা দ্বারা বেষ্টিত থাকে এবং এটি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের অধীনে থাকে।
-
সরকার: রাষ্ট্রের জনসংখ্যা ও ভূখণ্ডের উপর সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করার জন্য একটি সংগঠন গঠিত হয়, যাকে সরকার বলা হয়। সরকার রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন, কার্যকরকরণ ও বিচারের দায়িত্ব পালন করে।
-
সার্বভৌমত্ব: রাষ্ট্র তার ভূখণ্ড ও জনসংখ্যার উপর সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে। এই ক্ষমতা দ্বারা রাষ্ট্র তার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
এছাড়াও, রাষ্ট্র গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো স্বীকৃতি। একটি রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারা স্বীকৃত হতে হয়। স্বীকৃতি ছাড়া একটি রাষ্ট্র সার্বভৌম হিসেবে বিবেচিত হয় না।
এই উপাদানগুলোর যে কোনো একটির অভাব হলে একটি রাষ্ট্র গঠিত হয় না।
রাষ্ট্র গঠনের কারণ গুলো হলো:
-
নিরাপত্তা: রাষ্ট্র তার জনগণকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য গঠিত হয়।
-
অর্থনীতি: রাষ্ট্র তার জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গঠিত হয়।
-
সামাজিক নিয়ন্ত্রণ: রাষ্ট্র তার জনগণের মধ্যে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য গঠিত হয়।
-
সাংস্কৃতিক ঐক্য: রাষ্ট্র তার জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐক্য ও পরিচয় গঠনের জন্য গঠিত হয়।