ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
140 বার দেখা হয়েছে
"ইসলামের ইতিহাস" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

জনৈক ইহুদী আলেম নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়তের সত্যতা যাচাইকরণে যেই পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন তা আমরা নিচের এই ঘটনাটি দ্বারা জানতে পারি। ঘটনাটি এইঃ- 

হাফেজ তাবারানী, ইবনে হিব্বান এবং বায়হাকী (রহমাতুল্লাহি আলাইহিম) - এই তিনজন ঐতিহাসিক হাদীস বিশারদ, ইহুদিদের বিশিষ্ট আলেমদের মধ্য থেকে যাঁরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্য হতে জনৈক আলেমের সূত্রে বর্ণনা করেছেন, (তাঁর নাম গোপন রাখা হয়েছে) তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র চেহারার প্রতি যখনই দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছি তখনই নবুয়তের সকল নিদর্শনাবলির পরিচয় পেয়েছি। তবে দুটি নিদর্শন সম্পর্কে আমি অবগত হতে পারি নি। (প্রথমটি হলো,) - তাঁর ধৈর্য তাঁর ক্রোধ থেকে অগ্রগামী হবে। (অর্থাৎ, তাঁর রাগ থেকে ধৈর্য বেশি হবে।) (আর দ্বিতীয় নিদর্শনটি হলো,) তাঁর প্রতি অন্যের অভদ্র ও কঠোর আচরণ তাঁর ধৈর্য ও সহনশীলতাই বৃদ্ধি করে। (অর্থাৎ, তাঁর সাথে যতই অভদ্র আচরণ করা হবে, ততই তাঁর ধৈর্য ও ভদ্রতা বৃদ্ধি পাবে।)
সুতরাং আমি তাঁর সাথে কোমল আচারণ করতে থাকলাম যাতে তাঁর সাথে মেলামেশা করে আমি তাঁর সহিঞ্চুতা ও ক্রোধ সম্পর্কে অবগত হতে পারি। সে সুবাদে একদিন আমি তাঁর থেকে (বাইয়ে সলম হিসেবে) মূল্য পরিশোধের সময় নির্ধারণ করে কিছু খেজুর ক্রয় করি এবং অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করে দেই। অতঃপর নির্ধারিত সময় আসার দুই বা তিন দিন পূর্বেই আমি তাঁর নিকট এসে জনসম্মুখে তাঁর জামা এবং চাদর ধরে কঠিন চেহারায় তাকিয়ে বললাম, হে মুহাম্মদ! তুমি কি আমার পাওনা পরিশোধ করবে না? আল্লাহর শপথ করে বলছি, হে আব্দুল মুত্তালিবের বংশধর। তোমরা বড়ই টালবাহানাকারী। (ঘটনাক্রমে সেদিন হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর এসব কথা তিনিও শুনতে পেলেন) তাই হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু বলে উঠলেন, ওহে আল্লাহর দুশমন! আমি (নিজ কান দ্বারা) যা শ্রবণ করেছি তুমি কি তা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেছো? আল্লাহর কসম! আমি যদি তাঁর নৈকট্যের ভয় না করতাম ( অর্থাৎ তিনি যদি এখন এখানে উপস্থিত না থাকতেন), তাহলে এখনই আমার তরবারি দ্বারা তোমার গর্দান উড়িয়ে দিতাম। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃদু হেসে শান্ত ও গাম্ভীর্যপূর্ণ চেহারায় হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর দিকে তাকিয়ে বললেন, হে ওমর! আমি এবং সে তোমার থেকে এই আচরণ ভিন্ন অন্য আচরণের অধিক মুখাপেক্ষী ছিলাম। (আর তা হলো,) "আমাকে যথাযথভাবে সঠিকভাবে পাওনা আদায় করার কথা এবং তাকে ভদ্রতার সাথে (ঋণ আদায়ের) তাগাদা দেওয়ার কথা তোমার বলা উচিত ছিল। (কিন্তু তুমি যেহেতু তা করো নি, বরং তার সাথে রুক্ষ আচরণ করেছো, সেহেতু এখন তুমি) তাকে তোমার সঙ্গে নিয়ে যাও এবং তার প্রাপ্য আদায় করে দাও। আর তার সঙ্গে ঝগড়ার মাশুল হিসেবে বিশ 'সা' (খেজুর) অতিরিক্ত দিয়ে দাও। ইহুদি আলেম বলেন, (আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এ কথা শোনার পর) আমি বললাম, হে ওমর! যখনই আমি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র চেহারার প্রতি দৃষ্টিপাত করেছি তখনই আমি নবুয়তের সকল নিদর্শনাবলি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তবে দুটি নিদর্শন সম্পর্কে কখনও অবগত হতে পারি নি। সেগুলো হলো, তাঁর ধৈর্য তাঁর ক্রোধ থেকে অগ্রগামী হওয়া আর তাঁর সাথে (অন্যদের) কঠোর আচরণ তাঁর সহনশীলতা বৃদ্ধি করা। আজ আমি সে দুটি সম্পর্কেও অবগত হতে পারলাম। হে ওমর! আমি তোমাকে সাক্ষী রাখছি যে, ''রব'' হিসেবে আমি আল্লাহর উপর, '‘দীন'' হিসেবে ইসলামের উপর এবং ''নবী'' হিসেবে আমি মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর সন্তুষ্ট আছি। 

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,754 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
8 জন অনলাইনে আছেন
1 জন সদস্য, 7 জন অতিথি
এখন অনলাইনে আছেন
আজকে ভিজিট : 16783
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51889131
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...