৬২১ খ্রিস্টাব্দে (নবুয়তের দ্বাদশ বছরে) পরবর্তী হজ্জের সময় এলে হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দিষ্ট স্থানে ইয়াসরিবের লোকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। এ সময় ১২ জন লোকের একটি দল ইয়াসরিব থেকে মক্কায় আগমন করেছিল। তার মধ্যে ১০ জন ‘খাজরাজ’ বংশোদ্ভূত ও দুজন ‘আউস’ সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা মিনার কাছে আকাবা উপত্যকায় হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং নিম্নলিখিত শর্তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন-
১. আমরা একমাত্র আল্লাহর উপাসনা করব।
২. আমরা ব্যভিচারে লিপ্ত হব না।
৩. আমরা চুরি-ডাকাতি বা কোনোরূপ পরের সম্পদ আত্মসাৎ করব না।
৪. আমরা সন্তান হত্যা বা বলিদান করব না।
৫. কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ বা দোষারোপ করব না।
৬. প্রত্যেক সৎকাজে আল্লাহর রসুলকে মেনে চলব এবং কোনো ন্যায় কাজে তার অবাধ্য হব না।
নবদীক্ষিত ইয়াসরিববাসীর এ শপথ আল আকাবার প্রথম শপথ বা ‘বাইয়াতে আকাবা’ নামে পরিচিত। এ সময় ইয়াসরিববাসীর অনুরোধক্রমে কোরআন শিক্ষা প্রদানের জন্য হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রিয় সাহাবি মুসআব রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুকে তাদের সঙ্গে পাঠানো হলো। মদিনায় ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে মুসআব রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। আল আকাবার প্রথম শপথের পরবর্তী বছর (৬২২ খ্রি.) মদিনা থেকে আরও ৭৩ জন লোক এসে নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে দেখা করলেন এবং তাদের দেশে যাওয়ার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানালেন।