কানের ময়লাটা আসলে কোনো ময়লা নয়। এটা কানের এক ধরনের প্রটেকশন। এটা কানের ভিভরের সেবাসিয়াস গ্রন্থি হতে ক্ষরিত এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থ। প্রতিদিনই কিছুু না কিছুু এটা ক্ষরিত হয় এবং আস্তে আস্তে জমে মোম হয়ে যায়। তবে কানের কিছুু সংক্রামনেও এর উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। যেমন ফারাংকুলোসিস। এটা কানের চামড়াকে আবরন দিয়ে রাখে, পোকামাকড় কে ঢুকতে দেয় না এবং অতিরিক্ত শব্দের কিছুু অংশ শোষন করে।
কানের ময়লা বা খৈল (ইংরেজি cerumen) ডাক্তারি পরিভাষায় সেরুমেন। মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণির কর্ণকুহরে নিঃসৃত একপ্রকার হলুদাভ নিঃসরণ। কর্ণকুহরের বাইরের দিকের এক তৃতীয়াংশের দেওয়ালের পরিবর্তিত এপোক্রিন ঘর্মগ্রন্থি ও সেবাম গ্রন্থির মিশ্রিত ক্ষরণই সেরুমেন। একে সাধারণতঃ "কানের ময়লা" বলে ডাকা হলেও এর প্রয়োজীয় ভুমিকা আছে। এটি কর্ণকুহরের ত্বকের সুস্বাস্হ্য বজায় রাখে এবং ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পোকামাকড় ও পানি হতে কানকে রক্ষা করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে এর উপস্হিতি কর্ণকুহর আটকে দিয়ে কানের পর্দার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং শ্রবণশক্তির হানি ঘটাতে পারে।
বাতাসে ময়লা থাকে। কান বন্ধ থাকে বলে সেইখানে ময়লাটা জমা হয়ে ময়লা হয়। কানের ছোট পশমে তা আরও ভাল করে জমে যায়।
ধন্যবাদ।