প্রোটিস্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য:
১) এককোষী, আণুবীক্ষণিক প্রাণী।
২) দ্বিবিভাজন বা বহুবিভাজন পদ্ধতিতে শুধুমাত্র অযৌন জনন সম্পন্ন করে।
৩) সাধারণত এককোষী দেহে একটিমাত্র নিউক্লিয়াস থাকে। ব্যতিক্রম: প্যারামিসিয়ামের দুটি নিউক্লিয়াস এবং ওপালিনাতে বহু নিউক্লিয়াস থাকে।
৪) বিশেষ গমনাঙ্গের সাহায্যে গমন করে। যেমন-- অ্যামিবার ক্ষণপদ, প্যারামিসিয়ামের সিলিয়া এবং ইউগ্লিনার ফ্ল্যাজেলা আছে।
৫) শুধুমাত্র অন্তঃকোষীয় পরিপাক পদ্ধতি দেখা যায়।
৬) সমগ্র দেহাবর্ণী দিয়ে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্যাসীয় আদানপ্রদানের সাহায্যে শ্বসন প্রক্রিয়া চলে।
৭) দেহে বিভিন্ন প্রকার গহ্বর বা ভ্যাকুওল (vacuole) দেখা যায়। যেমন—১। খাদ্যগহ্বর, ২। রেচনগহ্বর, ৩। জলগহ্বর, ৪। সংকোচনশীল গহ্বর ইত্যাদি।
৮) সংকোচনশীল গহ্বরের সাহায্যে দেহের অতিরিক্ত জল দেহের বাইরে মুক্ত করে, অর্থাৎ দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
৯) প্রোটোপ্লাজমের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন কোষ অঙ্গাণু সৃষ্টি করে।
দেহ গোলাকার, ডিম্বাকার অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনিয়তাকার।
১০) এরা সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের পরজীবী প্রাণী।