হ্যাঁ! এমন আবেদও দুনিয়াতে আছেন- শয়তান যাঁদেরকে দুনিয়াতে তালাশ করে- কিন্তু তাঁদেরকে দেখে না, জাহান্নামের দারোগা মালেক তাঁদেরকে তালাশ করেন- কিন্তু তাঁদেরকে দেখেন না, জান্নাতের রিদওয়ান ফিরশতাও তাঁদেরকে তালাশ করেন, কিন্তু তিনিও তাঁদেরকে দেখেন না।
তাঁরা হচ্ছেন রব্বানী স্তরে উন্নীত আবেদ।
কেন তাঁদের এমন মর্যাদ?
এর উত্তর আবেদে রব্বানীর সংজ্ঞা থেকেই আমরা পেতে পারি। কেননা আবেদে রব্বানী বলা হয় ওই আবেদকে- যিনি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করেন যে, তিনি দুনিয়াকেও চিনেন না, আখেরাতকেও চিনেন না, জান্নাতকেও চিনেন না, জাহান্নামকেও চিনেন না, নফসকেও চিনেন না, রুহকেও চিনেন না। অর্থাৎ তিনি একমাত্র আল্লাহ্ তা'য়ালা ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসেন না, বুঝেন না, চিনেন না। তাঁরা আল্লাহর ইবাদতও করেন আল্লাহর ভয়ে বা তাঁর রহমত পাবার আশায় নয় কিংবা জাহান্নামের ভয়ে বা জান্নাতের আশায়ও নয়! তাঁরা আল্লাহর ইবাদাত করেন একমাত্র তাঁর জন্যই। এছাড়া তাঁদের আর কোনো উদ্দেশ্য থাকে না। এ কারণেই তাঁরা এ মর্যাদায় ভূষিত হবেন।
ইন্তিকালের পর তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে বলা হয়েছে -
فِيْ مَقْعَدِ صِدْقٍ عِنْدَ مَلِيْكٍ مُقْتَدِرٍ
অর্থাৎ- ( তাঁরা থাকবেন তাঁদের) যোগ্য আসনে, সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ তা'য়ালার (একান্ত) সান্নিধ্যে।