একজন আদর্শ নেতার গুনাবলী বর্ননা করা হলোঃ-
১.সাহসিকতা: যেকোনো কাজ এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতার মধ্যে ই প্রকৃত নেতৃত্বে র প্রকাশ হয়। সময়ে সময়ে এক নেতাকে গতানুগতিক রাস্তার বাইরে হেঁটে অজানা রাস্তায় হাঁটতে হয়। তবে এমনটা করার সময় প্রকৃত নেতারা কোনদিনও পি ছিয়ে যান না।
২.দায়িত্ব: যেকোনো নতুন রাস্তায় হাটতে গেলে ভুল হওয়া টা খুব স্বাভাবিক। ভুল অনেক ধরনের হতে পারে। তিনি নিজেও ভুল করতে পারেন। বা ভুলটা তিনি না করলেও তারই দলের অন্য কেউ করেছে। তখন একজন ভাল নেতা সবকিছু ভুলে গিয়ে সেই ভুলের নৈতিক দায়িত্ব পালন করেন।
৩.আশাবাদী এবং ইতিবাচকতা: খারাপ সময় কি খারাপ সময় না ভেবে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তাভাবনা করা ভালো নেতৃত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অনেক সময় পরিস্থিতি আমাদের স্বপক্ষে থাকে না। যেকোনো কিছু শুরু করবার সময় আমরা অর্থনৈতিক বা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি ।এক্ষেত্রে একমাত্র একজন ভাল নেতা মন খারাপ না করে ঠিকঠাক কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
৪.আত্মবিশ্বাস: ইতিহাস সাক্ষী আছে যখন পৃথিবীর একজন ব্যক্তি ও একজন নেতাকে বিশ্বাস করেন না, তখন সেই নেতা নিজের উপর বিশ্বাস হারান না। এমনকি দেখা গেছে অনেক সময় পরিবার থেকেও নেতারা তেমনটা সহযোগিতা পান না । তবুও তারা কখনোই নিজের উপর বিশ্বাস হারাতে রাজি নন।
৫.মানের স্তর সম্মন্ধে লক্ষ্য রাখা : একজন প্রকৃত নেতার সবসময়ই মানের স্তরের উপর তীক্ষ্ম নজর থাকে।পণ্য সামগ্রী কেনার সময় তিনি অনেক ভালভাবে যাচাই করতে পারেন। ঠিক তেমনি কোনো ব্যক্তিকে তার নিজের দলের আওতায় আনতে ও তিনি সঠিক পরখ করে নিতে পারেন।
৬.স্ব অনুপ্রাণিত: বলা আর করার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।সমাজের অনেকেই রয়েছে যারা অনেক কিছু বলতে পারেন কিন্তু বাস্তবে কিছু করতে গেলে কিছুদিনের মধ্যেই সেই বিষয়টিতে নিজে র আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রকৃত নেতার ক্ষেত্রে তা হয় না। তিনি সবসময়ই কোন কাজকে নতুন করে শুরু করতে আগ্রহ রাখেন।
৭. মানসিক ভাবে প্রবৃত্ত: একজন নেতা যেকোনো কাজেই অনেক বেশি একাত্ম হতে পারে ন। তিনি সেই কাজটির জন্য নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভাবতে পারে। সময়, টাকা পয়সা বা অন্যান্য শক্তি বিনিয়োগ করতেও পিছপা হন না। তিনি যখনই কাজটি শুরু করে ন, কাজটি শেষ হওয়া অবধি সেই কাজে লেগে থাকেন।
৮. চরিত্র: এক নেতার আরেকটি মস্ত বড় মনে হচ্ছে তার চরিত্র। নেতা তার চরিত্র দিয়ে তার দলের সঙ্গীদের আকর্ষণ করে ন। শুধু তাই নয় সম্পূর্ণ সমাজ ও একজন নেতার চরিত্র দেখে ই তার সম্বন্ধে নতুন ধারণা তৈরি করে।
৯. মনকে নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষমতা: একজন নেতার ঠান্ডা মাথায় কাজ করা খুবই প্রয়োজন।আর ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে গেলে সবচেয়ে প্রথম ধাপ হচ্ছে মনকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা। দুর্ঘটনা বা ক্ষতির সম্ভাবনা য় মাথা ঠান্ডা রেখে সে কাজটি সম্পন্ন করতে হয় যা একজন নেতা খুব ভালোভাবেই জানেন।
১০. মানসিক শক্তি এবং বুদ্ধি: মানসিক শক্তি এবং মানসিক বুদ্ধি একজন ব্যক্তিকে অন্য একজন ব্যক্তি থেকে আলাদা করে তুলে। এই শক্তি মানুষকে অন্যরকম ভাবতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে যারা নেতৃত্ব দিতে পারদর্শী তাদের মানসিক শক্তি ও বুদ্ধি খুবই তুখোড়।