এলার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া গেলে তা পরিহার করার মাধ্যমে সহজেই এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এলার্জি ভেদে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমেও অনেক ক্ষেত্রে এলার্জি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
এছাড়াও এলার্জি দ্রব্য এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেয়ার মাধ্যমে সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় :
প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করার সময় কিছু ময়লা বইয়ের সেলফে জমে থাকে এবং জমে থাকা এই ময়লাই অ্যালার্জেন সৃষ্টি করে। তাই দু-এক দিন পর পর বইগুলো নাড়াচাড়া করে সেলফে থাকা ডাস্ট পরিস্কার করতে হবে৷
বিছানার ডাস্ট মাইট থেকে পরিত্রাণ পেতে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, মশারি ইত্যাদি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এছাড়া ঘরের চারপাশে মেঝে ভালভাবে পানি ও ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
প্রতিদিন উঠোনে বা বেলকনিতে আসা রোদের মধ্যে লেপ, কম্পল ইত্যাদি ভালভাবে শুকিয়ে নেয়া যেতে পারে কারন রোদের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মিতে হাউজ ডাস্ট মাইট মরে যায়।
এক সপ্তাহ পর পর ভেজা কাপড় দিয়ে দরজা এবং জানালা পরিষ্কার করা উচিত। সেই সঙ্গে দরজা এবং জানালার পর্দা মাঝে মধ্যে ভালভাবে ধুতে হবে।
গোসলখানার জানালা খোলা রাখতে হবে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। গোসলখানা যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত গোসলখানার মেঝে, বাথটাব ও প্যান ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
রান্না ঘরের ময়লা-আবর্জনা থেকে মুক্ত হতে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। ফ্লোর ক্লিনার ও গরম পানি দিয়ে রান্না ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
শিশুদের খেলনা, বিভিন্ন শোপিস, জুতা, ফ্যান, এসি, ঝাড়বাতি ইত্যাদিতে ধুলোবালি জমে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই নিয়মিত এসব পরিষ্কার করতে হবে।
বাসায় পশুপাখি থাকলে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। পশুপাখি যে জায়গায় থাকে সেই জায়গাটা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। অবশ্যই পশুপাখির খাওয়ার পর উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলে দিতে হবে। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত পশুপাখিকে গোসল করালে এবং থাকার জায়গা পরিষ্কার করাতে পারেন তাহলে ভাল।