ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
363 বার দেখা হয়েছে
"ইতিহাস" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
তিতুমিরের বাঁশের অনুপ্রেরনায় বহু বাঙালি হাতে বাঁশ তুলে নেয় ও ইংরেজদের বাঁশ দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। তখন তিনি বর্তমান চব্বিশ পরগণা, নদীয়া এবং ফরিদপুরের বিস্তীর্ন অঞ্চলের অধিকার নিয়ে সেখানে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় জমিদারদের নিজস্ব বাহিনী এবং ব্রিটিশ বাহিনী তিতুমীরের হাতে বেশ কয়েকবার পরাজয় বরণ করে। সেই প্রলয়ঙ্করী যুদ্ধকে মহাপ্রলয়ঙ্করী রূপ দেয়ার জন্য এবং তাঁর বাহিনীর নিরাপত্তা, অস্ত্রশস্ত্র (মানে বাঁশ) মজুদ ও বাহিনীকে রণকৌশল প্রশিক্ষণের জন্য ১৮৩১ সালের ২৩শে অক্টোবর বারসাতের কাছে নারিকেলবাড়িয়ায় বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন। বাঁশ এবং কাদা দিয়ে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট এই অপূর্ব কেল্লা নির্মাণ করেন তিনি।

তিতুমির যখন বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন তখন সেই বাঁশের কেল্লা দেখে ইংরেজরা কেল্লাফতে যান এবং ইংরেজ বাহিনীতে চিল্লাচিল্লি শুরু হয়ে যায়। অনেক কিলাকিলি-মারামারি হওয়ার পরও যখন ইংরেজরা তিতুমিরের হাতে বারবার বাঁশ খাচ্ছিল তখন বাঁশের কেল্লার দিকে মুখ তুলে তাকালেই তাদের আত্মা অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠত ও গত যুদ্ধে খাওয়া কাঁচাপাকা বাঁশের কথা মনে হত।

অবশেষে ১৮৩১ সালের ১৪ নভেম্বর কর্নেল হার্ডিং-এর নেতৃত্বে ব্রিটিশ সৈন্যরা ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও কামানগোলা নিয়ে তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীদের অক্রমন করে। তিতুমির তাঁর অনুসারীদের নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন, কিন্তু কামানগোলার আঘাতে তিতুমিরের বাঁশের কেল্লা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়। যেই যুদ্ধে বাঁশের বিরুদ্ধে ইংরেজদের কামানগোলা ব্যবহার করতে হয়, সেই যুদ্ধে বাঁশ কত বড় একটা অস্ত্র ছিল তা বলা বাহুল্য। অবশেষে ১৯শে নভেম্বর তিতুমীর নিহত হন। তাঁর বাঁশের কেল্লা ধ্বংস করে দেয়া হয়।

এই বাঁশ যদি না থাকতো তাহলে বাঙালি অনুপ্রেরণার অভাবে তিতুমির এতদূর আসতে পারত না, পারত না ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে। তিতুমিরের এই বিদ্রোহ পরবর্তীতে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। অপর কথায় বলা যায় বাঁশই আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা, আমাদের একমাত্র অস্ত্র যার প্রতিটি গিঁটে গিঁটে রয়েছে পরাধীনতার শিকল ভাঙার উচ্ছ্বাস।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
তিতুমিরের বাঁশের অনুপ্রেরনায় বহু বাঙালি হাতে বাঁশ তুলে নেয় ও ইংরেজদের বাঁশ দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। তখন তিনি বর্তমান চব্বিশ পরগণা, নদীয়া এবং ফরিদপুরের বিস্তীর্ন অঞ্চলের অধিকার নিয়ে সেখানে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় জমিদারদের নিজস্ব বাহিনী এবং ব্রিটিশ বাহিনী তিতুমীরের হাতে বেশ কয়েকবার পরাজয় বরণ করে। সেই প্রলয়ঙ্করী যুদ্ধকে মহাপ্রলয়ঙ্করী রূপ দেয়ার জন্য এবং তাঁর বাহিনীর নিরাপত্তা, অস্ত্রশস্ত্র (মানে বাঁশ) মজুদ ও বাহিনীকে রণকৌশল প্রশিক্ষণের জন্য ১৮৩১ সালের ২৩শে অক্টোবর বারসাতের কাছে নারিকেলবাড়িয়ায় বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন। বাঁশ এবং কাদা দিয়ে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট এই অপূর্ব কেল্লা নির্মাণ করেন তিনি।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
22 সেপ্টেম্বর, 2020 "ইতিহাস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Khorshed
1 টি উত্তর
28 মে, 2021 "ইতিহাস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন রাব্বি
1 টি উত্তর
5 ফেব্রুয়ারি, 2024 "যন্ত্র ও প্রকৌশল" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন TANJIMHASAN
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
7 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 7 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 12322
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51884672
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...