ইন্টারনেট সমগ্র পৃথিবীকে আমাদের হাতের মুঠোই এনে দিয়েছে। ঘরে বসেই আমরা সারা পৃথিবীকে অবলোকন করছি। ইন্টারনেটে অনেক ভাল দিক রয়েছে যা ব্যবহারের ফলে আমাদের জানার পরিধি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এর খারাপ দিক মোটেই উপেক্ষা করার মত নয়। পর্নোগ্রাফি তেমনই একটি খারাপ দিক যা শিশুসহ যুবক-যুবতীদের ঠেলে দিচ্ছে ভয়াবহ বিকৃতির দিকে। অশ্লীল ভিডিও দেখার ফলে একজন তরুণ হয়ে উঠছে সেক্স অপরাধী। এতে তরুণ-তরুণীদের স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এ পরিস্থিতি আমাদের দেশের জন্য, আগামী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে, আমাদের সমাজ কাঠামোর জন্যে ভয়াবহ অভিশাপ ও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যদি আমাদের দেশটাকে এগিয়ে নিতে চাই তবে তরুণ সমাজকে অবশ্যই নৈতিকতার মানদন্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে।
বিভিন্ন সাইবার ক্যাফের উপর পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে সময়ে তরুণদের পড়ার টেবিলে অথবা খেলার মাঠে থাকার কথা অথচ সে সময়ে তারা নিমগ্ন থাকছে ইন্টারনেটে। তারা যেসব সাইট ব্রাউজ করে তার বেশিরভাগই পর্নোসাইড। যেখান থেকে অবাধে পর্নোছবি ডাউনলোড করা যায় মোবাইলে। পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বেড়েছে মাদকাশক্তি। পর্নোগ্রাফিতে আসক্তরা মাদকাসক্তসহ মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হচ্ছে। বেশিরভাগই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। এরা লেখাপড়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। একপর্যায়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এসবের জন্য অর্থ জোগাতে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।