262 বার দেখা হয়েছে
"কুরআন ও হাদিস" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদিন মসজিদে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে উপস্থিত হলেন। হঠাৎ মহানবীর (সা.) মাঝে তন্দ্রা অথবা একধরনের অচেতনতার ভাব দৃশ্যমান হলো। এরপর নবীজি (সা.) হাসিমুখে মস্তক উত্তোলন করলেন। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার হাসির কারণ কী?’ তিনি বললেন, ‘এই মুহূর্তে আমার নিকট একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে’। অতঃপর তিনি বিসমিল্লাহসহ সূরা কাউসার পাঠ করলেন এবং বললেন, ‘তোমরা জান, কাউসার কী?’ আমরা বললাম, ‘আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল ভালো জানেন’। তিনি বললেন, ‘এটা জান্নাতের একটি নহর। আমার পালনকর্তা আমাকে এটা দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন। এতে অজস্র কল্যাণ আছে এবং এই হাউজে কেয়ামতের দিন আমার উম্মত পানি পান করতে যাবে। এর পানি পান হজরত করার পাত্র সংখ্যা আকাশের তারকাসম হবে। তখন কতক লোককে ফেরেশতাগণ হাউজ থেকে হটিয়ে দেবে। আমি বলবো, পরওয়ারদেগার, সে তো আমার উম্মত। আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আপনি জানেন না, আপনার পরে সে কী নতুন মত ও পথ অবলম্বন করেছিল?’ (হাদিসে সহিহ বোখারি, মুসলিম শরিফ, আবু দাউদ, নাসায়ী)। 


তৎকালীন আরবে যাদের পুত্র সন্তান মারা যেতো তাদের নির্বংশ বলেন অপবাদ দেয়া হতো। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের পুত্র কাসেম অথবা ইব্রাহিম যখন মারা গেলেন, তখন আরবের কাফেররা নবিজী (সা.)-কে উপহাস করা শুরু করলো নির্বংশ। আর এই প্রেক্ষাপটে সূরা আল কাউসার অবতীর্ণ হয়। এই সূরায় আল্লাহর পেয়ারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের মর্যাদা ও শান উল্লেখ করা হয়েছে। যেসব কাফের নবীজি (সা.)- কে নির্বংশ বলে দোষারোপ করত, তাদেরকে নির্বংশ বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে এই সূরার মাধ্যমে। 
মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে হোসাইন থেকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তির পুত্রসন্তান মারা যায়, আরবে তাকে ‘আব্তার্’ নির্বংশ বলা হয়। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর পুত্র কাসেম অথবা ইব্রাহিম যখন শৈশবেই মারা গেলেন, তখন কাফেররা তাঁকে নির্বংশ বলে উপহাস করতে লাগল। ওদের মধ্যে ‘আস ইবনে ওয়ায়েলের’ নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার সামনে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর কোনো আলোচনা হলে সে বলত: আরে তার কথা বাদ দাও, সে তো কোনো চিন্তারই বিষয় নয়। কারণ, সে নির্বংশ। তার মৃত্যু হয়ে গেলে তার নাম উচ্চারণ করারও কেউ থাকবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে সূরা কাউসার অবতীর্ণ হয়। (ইবনে কাসীর, মাযহারী)। 
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘কাউসার’ সেই অজস্র কল্যাণ যা আল্লাহ তায়ালা রাসূল (সা.)-কে দান করেছেন। কাউসার জান্নাতের একটি প্রস্রবণের নাম। সহিহ হাদিসে বলা হয়েছে যে, ‘এটা একটি নহর যা বেহেশতে নবী (সা.)-কে দান করা হবে।’

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
19 মে, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
19 মে, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
2 টি উত্তর
19 মে, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
19 মে, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
8 মে, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Musfiqur Rahman
2 টি উত্তর
0 টি উত্তর
0 টি উত্তর
1 টি উত্তর
8 মে, 2021 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Musfiqur Rahman
1 টি উত্তর
8 মে, 2021 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Musfiqur Rahman
1 টি উত্তর
8 মে, 2021 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Musfiqur Rahman
0 টি উত্তর
19 ফেব্রুয়ারি, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা

34,035 টি প্রশ্ন

32,985 টি উত্তর

1,573 টি মন্তব্য

3,207 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
22 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 22 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 10835
গতকাল ভিজিট : 31045
সর্বমোট ভিজিট : 42353249
  1. MuntasirMahmud

    257 পয়েন্ট

    51 টি উত্তর

    2 টি গ্রশ্ন

  2. Limon54

    90 পয়েন্ট

    17 টি উত্তর

    5 টি গ্রশ্ন

  3. TeddyAhsan

    71 পয়েন্ট

    4 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

  4. TAKRIMISLAM

    68 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    18 টি গ্রশ্ন

  5. Jara

    53 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    3 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...