গনিতে ভালো করতে চাই আত্মবিশ্বাস। আর আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে গণিতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবশ্যই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। উচ্চতর গণিত পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম বা টিপস অনুসরণ করা দরকার। যেমন—
♦ সব অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সূত্রগুলো আলাদা আলাদা কাগজে লিখে কয়েকবার করে পড়ে ও লিখে অনুশীলন করবে। সৃজনশীল গণিতে ভালো করার জন্য বেশি বেশি সূত্রের অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। কারণ গণিতে সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরির জন্য শিক্ষকদের কাছে রয়েছে বহু রকমের পয়েন্ট। সেসব পয়েন্ট থেকে একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে প্রশ্ন করতে পারেন শিক্ষকরা। ফলে এসব ভিন্ন আঙ্গিকের প্রশ্নগুলো খুব সহজে সমাধান করতে গণিতের সব প্রয়োজনীয় সূত্রের অনুশীলন জরুরি।
♦ প্রত্যেক অধ্যায়ের মৌলিক বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে আয়ত্তে রাখা জরুরি। কারণ মৌলিক বিষয়গুলো জানা না থাকলে সৃজনশীল গণিতে ভালো করা কঠিন। তাই পাঠ্য বইয়ের প্রত্যেকটি অধ্যায়ের শুরুতে থাকা অধ্যায় সম্পর্কিত মৌলিক গণিতে বিষয়গুলো আগেই বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবে। কারণ এসব মৌলিক বিষয় থেকে জ্ঞানমূলক, বহু নির্বাচনী, এমনকি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন—বিভিন্ন ধরনের ম্যাট্রিক্সের গঠন ও সংজ্ঞা, ম্যাট্রিক্স ও নির্ণায়কের মধ্যে পার্থক্য, সরলরেখার ঢাল, সরলরেখা ও বক্ররেখা (বৃত্ত, উপবৃত্ত, পরাবৃত্ত, অধিবৃত্ত) এর মধ্যে পার্থক্য, সরলরেখা ও বৃত্তের মধ্যে সম্পর্ক, বৃত্তের বৈশিষ্ট্য, বৃত্তের সমীকরণ, বিন্যাস ও সমাবেশের মধ্যে পার্থক্য, বিন্যাস বা সমাবেশের প্রয়োগ, বিভিন্ন প্রকার ফাংশনের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য, ডোমেইন ও রেঞ্জের সংজ্ঞা ও এদের মধ্যে পার্থক্য, অন্তরীকরণ ও যোগজীকরণের প্রয়োগ ও এদের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি। এসব মৌলিক বিষয় জানা থাকলে অন্যান্য সৃজনশীল প্রশ্ন সহজে সমাধান করা সম্ভব।
♦ যেসব অধ্যায়ে একই বিষয়ের একাধিক সমীকরণ রয়েছে, সে ক্ষেত্রে একাধিক সমীকরণের মধ্যে সম্পর্ক কী তা সহজে বোঝা জরুরি। যেমন— বৃত্তের সমীকরণ হতে পারে দুই প্রকার : এই দুই প্রকার সমীকরণের মধ্যে সম্পর্ক জানা দরকার।