237 বার দেখা হয়েছে
"কুরআন ও হাদিস" বিভাগে করেছেন
দলিল সম্মত

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
রূহের সংযোগ দেহের সাথে এমনভাবে করে দেয়া হয়, যাতে মৃত ব্যক্তিটি আজাবের কষ্ট বা নেয়ামতের স্বাদ অনুভব করতে পারে। মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তার দেহের সাথে রূহের সম্পর্ক একেবারে ছিন্ন হয়ে যায় না। সাময়িকভাবে ছিন্ন হলেও পুনরায় সংযোগ স্থাপন করে দেয়া হয়। কিন্তু সেই সংযোগ পার্থিব সংযোগের মতো নয়। যেমনভাবে জীবন্ত অবস্থায় পৃথিবীর সম্পর্কগুলো প্রতিষ্ঠিত থাকে। কিন্তু এমনভাবে করে দেয়া হয়, যেন দেহটির সাথে রূহের বিশেষ সম্পর্ক বজায় থাকে। যার ফলে মৃত ব্যক্তি আজাব ও নেয়ামত অনুভব করতে পারে। ইসলামের সহিহ আকিদা হলো, কেউ মারা গেলে আল্লাহ তায়ালা তার দেহের কোনো অঙ্গে বিশেষভাবে প্রাণ সঞ্চারিত করে দেন। এতে সে অনুভূতিশক্তি ফিরে পায়। এটা অপরিহার্য নয় যে, রূহটিকে পুরোপুরিভাবে দেহে ফিরিয়ে দেয়া হয়। যার কারণে লাশটি নড়াচড়া, চলাফেরা করতে পারে, এমন কিছু নয়। আমাদের আকিদা হলো, মুসলমানদের রূহ তাদের মর্যাদা অনুসারে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। কারো কারো রূহ থাকে কবরে। কারো কারো থাকে জমজম কূপে। কারো আসমান- জমিনের মধ্যবর্তী কোথাও। কারো থাকে প্রথম আসমানে, কারো দ্বিতীয়, আবার কারো তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম আসমানে। আবার কারো রূহ অবস্থান করে আলা ইল্লিয়্যিনে, এমনটাই এসেছে বিভিন্ন হাদিসে। ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহ: তার ‘শরহুস সুদুর বিশারহি হালিল্ মাওতা ওয়াল কুবুর’ গ্রন্থে এ ব্যাপারে হাদিসের কিতাবসমূহ থেকে বেশ কিছু হাদিস একত্র করেছেন। সেখান থেকে কিছু উল্লেখ করার চেষ্টা করছি। উক্ত গ্রন্থের ২৬২-২৬৩ পৃষ্ঠায় হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা: হতে এই হাদিসটি বর্ণিত আছে, তিনি বলেন : ‘নিঃসন্দেহে মানুষকে যখন কবরে রাখা হয়, তখন থেকে প্রত্যহ সকাল-সন্ধ্যা তাকে জান্নাত কিংবা জাহান্নাম থেকে তার ঠিকানা দেখানো হয়।’ উক্ত গ্রন্থের ২৩৭ পৃষ্ঠায় আরো আছে, হজরত আলী রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন : ‘মুমিনদের রূহ জমজম কূপে রাখা হয়। অনুরূপ ২৩৬ পৃষ্ঠায় মুগিরা ইবনে আবদুল্লাহ রা: থেকে বর্ণিত : ‘মৃত ব্যক্তির রূহ আসমান এবং জমিনের মধ্যবর্তী স্থানে রাখা হয়। অতঃপর সেখান থেকে মৃত ব্যক্তির দেহে ফিরিয়ে দেয়া হয়।’ ২৩৫ পৃষ্ঠায় হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত আছে, নবী করিম সা: ইরশাদ করেছেন : নিঃসন্দেহে মুমিনদের রূহসমূহ সপ্তম আসমানে থাকে। সেখান থেকে তাঁরা জান্নাতের দৃশ্যাবলি অবলোকন করেন।’ সুনানে আবু দাউদের ২৫২০ নং হাদিসে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত, নবী কারিম সা: বলেছেন : ‘যখন তোমাদের কোনো ভাই মৃত্যুবরণ করে, তখন আল্লাহ তায়ালা তার রূহকে সবুজ পাখির পেটে রেখে দেন।’ ইমাম নবভী রহ: সহিহ মুসলিম শরিফের এক হাদিসের ‘রফিকুল আলা’ শব্দের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দ্বিতীয় খণ্ডের ২৮৬ পৃষ্ঠায় বলেছেন : ‘কিছু মুমিনের রূহ রফিকুল আলার (উত্তম সাথী) সাথে থাকবেন। রফিকুল আলা হচ্ছেন আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম। যাঁদের রুহ ইল্লিয়্যিনে থাকে।’ সুতরাং হাদিসের আলোকে মুমিনদের রূহ মর্যাদা অনুসারে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। বিপরীতে কাফেরদের রূহ থাকে সিজ্জিনে। যেখানে তাদের রাখা হয় বন্দী অবস্থায়। তারা আজাবের কষ্ট অনুভব করতে থাকে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

34,042 টি প্রশ্ন

32,999 টি উত্তর

1,576 টি মন্তব্য

3,211 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
29 জন অনলাইনে আছেন
1 জন সদস্য, 28 জন অতিথি
এখন অনলাইনে আছেন
আজকে ভিজিট : 20718
গতকাল ভিজিট : 106549
সর্বমোট ভিজিট : 42659132
  1. MuntasirMahmud

    277 পয়েন্ট

    55 টি উত্তর

    2 টি গ্রশ্ন

  2. Limon54

    100 পয়েন্ট

    19 টি উত্তর

    5 টি গ্রশ্ন

  3. Kuddus

    80 পয়েন্ট

    16 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  4. TeddyAhsan

    71 পয়েন্ট

    4 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

  5. TAKRIMISLAM

    68 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    18 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...