কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলি হলো:
১. দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে রক্তের গ্রুপ এবং টিস্যু টাইপিংয়ের মিল থাকা: কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ এবং টিস্যু টাইপিংয়ের মিল থাকা আবশ্যক। রক্তের গ্রুপ এবং টিস্যু টাইপিংয়ের মিল না থাকলে গ্রহীতার শরীর দাতার কিডনিকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
২. দাতা ও গ্রহীতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা: কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে দাতা ও গ্রহীতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে দাতা ও গ্রহীতার শরীরে কোনো সংক্রমণ বা রোগ আছে কি না, তা জানা যায়।
৩. গ্রহীতার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা: কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য গ্রহীতার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সুস্থ থাকা আবশ্যক। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর গ্রহীতাকে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয় এবং কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।
৪. আইনি সম্মতি: কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে দাতা ও গ্রহীতার আইনি সম্মতি থাকা আবশ্যক।
৫. আর্থিক প্রস্তুতি: কিডনি প্রতিস্থাপন একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। তাই, কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে আর্থিক প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
৬. কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য উপযুক্ত দাতা নির্বাচন করা: কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য উপযুক্ত দাতা নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, দাতার বয়স, স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মান বিবেচনা করা হয়।
৭. কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত হাসপাতাল নির্বাচন: কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত হাসপাতাল নির্বাচন করা জরুরি। এক্ষেত্রে, হাসপাতালের কিডনি প্রতিস্থাপন বিভাগের অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের হার বিবেচনা করা হয়।
৮. কিডনি প্রতিস্থাপনের পর রোগীর নিয়মিত ফলো-আপ: কিডনি প্রতিস্থাপনের পর রোগীর নিয়মিত ফলো-আপ করা জরুরি। ফলো-আপের মাধ্যমে রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং কোনো জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।