শরীয়ত, তরীকত, হাকীকাত ও মারিফাত’’ এ পর্যায়ক্রমিক ধারায় ‘‘মারিফাত’’-কে শরীয়তের উপরে স্থান দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে কুরআন-সুন্নাহ সুস্পষ্টভাবেই মারিফাতকে শরীয়তের নিম্নের স্থান দিয়েছে। ‘জ্ঞান’ অর্থে ‘মারিফাত’ ঈমান অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আল্লাহর মারিফাত বা আল্লাহর পরিচয় লাভ মানুষকে তাঁর প্রতি ঈমান বা বিশ্বাসের দিকে ধাবিত করে। তবে কুরআন-হাদীসে মূলত ‘‘ইলম’’ এবং ‘‘ফিকহ’’-এর প্রশংসা করা হয়েছে, ‘‘মারিফাত’’-এর কোনো বিশেষ প্রশংসা করা হয় নি। ‘‘মারিফাত’’ ঈমানের পথে পরিচালিত করলে তা প্রশংসনীয়। উপরন্তু কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘‘মারিফাত’’ অর্জনের পরেও মানুষ কুফর বা অবিশ্বাসে লিপ্ত হয়। কুরআনে একাধিক স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইহূদী-খৃস্টানদের অনেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর দীন সম্পর্কে পরিপূর্ণ ‘‘মারিফাত’’ অর্জনের পরেও কুফরী করত।