শক্তি ও দুর্বলতার দিক থেকে হাদিস তিন প্রকার।যথা:
১. সহীহ ২. হাসান ৩. জয়ীফ
সহীহঃ যে মুত্তাসিল সনদের রাবীগণ প্রত্যেকেই উত্তম শ্রেণীর আদিল ও জাবিতরূপে পরিচিত অর্থাৎ ছেকাহ হওয়ার শর্তাবলী তাদের মধ্যে পূর্ণরূপে বিরাজমান, মূল হাদীসটি সূক্ষ্ণ দোষ ত্রুটি অথবা শা’জ বা দল ছাড়া হতে মুক্ত এরূপ হাদীসকে ‘সহীহ হাদীস’ বলে। অন্যভাবে বলা যায় যে হাদীসের বর্ণনা সূত্র ধারাবাহিক রয়েছে, সনদের প্রত্যেক স্তরের বর্ণনাকারীর নাম সঠিকরূপে উল্লেখিত হয়েছে, বর্ণনাকারীগণ সর্বোতভাবে বিশ্বস্ত ছেকাহ যাঁদের স্মরণ শক্তি অত্যন্ত প্রখর এবং যাঁদের সংখ্যা কোন স্তরেই মাত্র একজন হয়নি, এরূপ হাদীসকে হাদীসে সহীহ বলে।
সহীহ হাদীসের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে ইমাম নববী বলেছেন- “যে হাদীসের সনদ নির্ভযোগ্য ও সঠিক রূপে সংরক্ষণকারী বর্ণনা কারকদের সংযোজনে পরস্পরাপূর্ণ ও যাতে বিরল ও ত্রুটিযুক্ত বর্ণনাকারী একজনও নেই, তাই ‘হাদীসে সহীহ’।
হাসানঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারীর মধ্যে সকল গুণ বর্তমান তাকা সত্ত্বেও যদি স্মরণ শক্তির কিছুটা দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়, তবে সেই হাদীসকে ‘হাদীসে হাসান’ বলে।
জয়ীফঃ উপরিউক্ত হাদীসে সহীহ ও হাদীসে হাসানে বর্ণিত গুণগুলি যদি সনদ বর্ণনাকারী রাবীদের মধ্যে কম পরিলক্ষিত হয় তবে তাকে ‘হাদীসে জয়ীফ’ বলে।