ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ যা শরীরের ইনসুলিন তৈরি বা ব্যবহারের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ইনসুলিন হলো একটি হরমোন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, যা বিভিন্ন জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির কোনো নির্দিষ্ট উপায় নেই। তবে, সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাপনের পরিবর্তনগুলির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেগুলি হলো:
-
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
-
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে রয়েছে:
-
কম ফ্যাটযুক্ত, কম স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত এবং কম ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার
-
প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং ফল
-
সম্পূর্ণ শস্য
-
চর্বিহীন প্রোটিন
-
কম চিনিযুক্ত পানীয়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনে ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনের ব্যাপারে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জীবনযাপনের পরিবর্তনগুলির পাশাপাশি মানসিক চাপ কমানোও গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান, যোগাযোগ বা অন্যান্য উপায়ে চেষ্টা করা উচিত।
ডায়াবেটিস একটি গুরুতর রোগ। তবে, সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাপনের পরিবর্তনগুলির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।