আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ হলো আলোর প্রতিসরণ এবং প্রতিফলন। সূর্যের আলো সাদা রঙের, যা আসলে সাতটি রঙের সমষ্টি। এই রঙগুলো হলো: লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, আকাশী এবং বেগুনী। যখন সূর্যের আলো বৃষ্টির ফোঁটার মধ্য দিয়ে যায়, তখন আলোর প্রতিসরণ এবং প্রতিফলনের কারণে এই সাতটি রঙ আলাদা হয়ে যায়। প্রতিসরণ হলো আলোর একটি ঘটনা যেখানে আলো এক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করার সময় তার দিক পরিবর্তন করে। প্রতিফলন হলো আলোর একটি ঘটনা যেখানে আলো এক পৃষ্ঠ থেকে অন্য পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়।
বৃষ্টির ফোঁটার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, সূর্যের আলোর সাতটি রঙের প্রতিসরণ এবং প্রতিফলনের পরিমাণ আলাদা হয়। লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এটি সবচেয়ে কম প্রতিসৃত হয়। বেগুনী রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এটি সবচেয়ে বেশি প্রতিসৃত হয়।
এই কারণে, বৃষ্টির ফোঁটার পিছনে রংধনুতে লাল রঙ সবচেয়ে উপরে এবং বেগুনী রঙ সবচেয়ে নীচে দেখা যায়। রংধনু সাধারণত একটি অর্ধবৃত্তাকার আকারে দেখা যায়, কারণ প্রতিসৃত আলোর রশ্মিগুলি সূর্য থেকে দর্শকের দিকে নির্দেশিত হয়।
রংধনু সৃষ্টির জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত প্রয়োজন। প্রথমত, আকাশে বৃষ্টিপাত থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, সূর্য আকাশে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট কোণে থাকতে হবে। সূর্য যত বেশি উঁচুতে থাকবে, রংধনু তত কম স্পষ্ট হবে। তৃতীয়ত, দর্শক অবশ্যই সূর্যের পিছনে থাকতে হবে।
রংধনু একটি মনোরম প্রাকৃতিক ঘটনা যা প্রায়শই বৃষ্টির পরে দেখা যায়। এটি একটি সুন্দর দৃশ্য যা মানুষকে প্রায়শই মুগ্ধ করে।