বিড়ালের কামড়ে প্রধানত দুটি রোগ হতে পারে:
-
জলাতঙ্ক: জলাতঙ্ক একটি প্রাণঘাতী রোগ। এটি একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয় যা আক্রান্ত প্রাণীর মুখের লালায় থাকে। বিড়াল যদি র্যাবিশে আক্রান্ত হয় এবং কামড় দেয়, তাহলে সেই কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। জলাতঙ্কের লক্ষণগুলি সাধারণত কামড়ের 10-12 দিন পর দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেট ব্যথা, ঘুমের সমস্যা,অস্থিরতা, ভয় এবং অসংলগ্ন কথাবার্তা। রোগটি যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে মৃত্যু হতে পারে।
-
গ্যালেনিয়া: গ্যালেনিয়া একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রমণ। এটি বিড়ালের মুখের লালায় থাকা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। গ্যালেনিয়া সংক্রমণের লক্ষণগুলি সাধারণত কামড়ের 2-10 দিন পর দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষতস্থানে ব্যথা,লালভাব, ফোলাভাব এবং পুঁজ। গ্যালেনিয়া সংক্রমণ সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে।
বিড়ালের কামড়ের পর নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া উচিত:
-
ক্ষতস্থানটি সাবান এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
-
ক্ষতস্থানে অ্যান্টিসেপটিক লাগান।
-
যদি কামড়টি গভীর হয় বা রক্তপাত হয়, তাহলে হাসপাতালে যান।
-
যদি বিড়ালটি র্যাবিশে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জলাতঙ্কের টিকা নিন।
বিড়ালকে র্যাবিশে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে, বিড়ালকে প্রতি বছর র্যাবিশের টিকা দেওয়া উচিত।