শ্বাসকষ্ট এমন একটি শারীরিক অবস্থা যখন একজন মানুষ মনে করে যে সে যথেষ্ট ভাল করে ও আরামদায়কভাবে শ্বাস নিতে পারছে না। একে ইংরেজি চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক পরিভাষায় ডিসপ্নিয়া বলে। শ্বাসকষ্ট পরিমাপ করার জন্য এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির তীব্রতা, কষ্টের তীব্রতা এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনে এর প্রভাব - এই তিনটি নিয়ামক বিবেচনায় গ্রহণ করতে হয়। শ্বাসকষ্টের বিভিন্ন অনুভূতির মধ্যে আছে শ্বাস নেওয়ার জন্য কাজ করতে হচ্ছে এরকম অনুভূতি, বুক চেপে আসা এবং বাতাসের জন্য আকুতি (অক্সিজেনের অভাব হয়েছে এমন অনুভূতি)।
শ্বাসকষ্টের অনেকগুলি কারণ হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
ফুসফুসের রোগ, যেমন হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধক ফুসফুসীয় ব্যাধি (COPD), নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার
-
হৃদরোগ, যেমন হার্ট ফেইলিউর, এনজাইনা পেক্টোরিস
-
রক্ত সঞ্চালনজনিত সমস্যা, যেমন অ্যানিমিয়া, হাইপারটেনশন
-
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন উদ্বেগ, আতঙ্ক রোগ
-
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন কিডনি রোগ, লিভার রোগ, থাইরয়েড সমস্যা
শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
শ্বাস নিতে কষ্ট
-
শ্বাস নেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করতে হয়
-
বুকে চাপ বা ব্যথা
-
শ্বাস নিতে শব্দ করা
-
মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া
-
শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া
-
ঘুমের সমস্যা
শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং তীব্রতার উপর। যদি শ্বাসকষ্টের কারণ কোনও চিকিৎসাযোগ্য রোগ হয়, তাহলে সেই রোগের চিকিৎসা করলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যায়। এছাড়াও, শ্বাসকষ্টের জন্য কিছু ওষুধ এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
শ্বাসকষ্ট একটি গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। যদি আপনাকে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নিন।
শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন:
-
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
-
নিয়মিত ব্যায়াম করা
-
ধূমপান ত্যাগ করা
-
পরিষ্কার বাতাসে থাকা
-
সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করা
শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ।