কোষচক্র হল একটি সুস্থ বর্ধিষ্ণু কোষের জীবনের চক্র। এটি কোষের বৃদ্ধি, DNA প্রতিলিপিকরণ এবং বিভাজনের সময়কালকে অন্তর্ভুক্ত করে। কোষচক্র দুটি প্রধান পর্যায় নিয়ে গঠিত:
-
ইন্টারফেজ: এই পর্যায়ে কোষ বৃদ্ধি পায় এবং DNA প্রতিলিপিকরণ করে। ইন্টারফেজকে আরও তিনটি উপপর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে:
-
জি-১ পর্ব: এই পর্যায়ে কোষ তার আকার বৃদ্ধি করে এবং প্রোটিন এবং RNA সংশ্লেষ করে।
-
S পর্ব: এই পর্যায়ে কোষের DNA প্রতিলিপিকরণ হয়। প্রতিটি ক্রোমোসোম দুটি সদৃশ ক্রোমাটিডের একটি সেটে প্রতিলিপি করা হয়।
-
জি-২ পর্ব: এই পর্যায়ে কোষ DNA প্রতিলিপিকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং RNA সংশ্লেষ করে।
-
মাইটোসিস: এই পর্যায়ে কোষের নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম দুটি অপত্য কোষে বিভক্ত হয়। মাইটোসিসকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে:
-
প্রোফেজ: এই পর্যায়ে কোষের নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম সংকুচিত হয়। ক্রোমোজোমগুলি পরিপক্ক হয় এবং স্পাইরালাইজড হয়।
-
মেটাফেজ: এই পর্যায়ে ক্রোমোজোমগুলি মাইটোটিক প্লেটে সাজানো হয়।
-
অ্যানাফেজ: এই পর্যায়ে ক্রোমাটিডগুলি বিপরীত মেরুতে চলে যায়।
-
টেলোফেজ: এই পর্যায়ে কোষের নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম পুনর্গঠিত হয়।
কোষচক্র সমস্ত জীবের জন্য প্রয়োজনীয়। এটি কোষের বৃদ্ধি, বিভাজন এবং ক্ষয়ের জন্য দায়ী। কোষচক্রের নিয়ন্ত্রণ জীবের বিকাশ এবং বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোষচক্রের নিয়ন্ত্রণে জড়িত বিভিন্ন প্রোটিন এবং জিন রয়েছে। এই প্রোটিন এবং জিনগুলি কোষচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে সক্রিয় হয় এবং কোষচক্রের অগ্রগতি নিয়ন্ত্রণ করে। কোষচক্রের নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন ঘটলে ক্যান্সার বা অন্যান্য রোগ হতে পারে।