নিউক্লিওটাইড হলো এক ধরনের জৈব যৌগ যা নিউক্লিক এসিডের গাঠনিক একক। নিউক্লিক এসিড হলো ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (DNA) এবং রাইবোনিউক্লিক এসিড (RNA)। DNA কোষের রাসায়নিক তথ্যের ধারক এবং RNA কোষের বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
নিউক্লিওটাইড তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত:
-
নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারক: এটি নিউক্লিওটাইডের কেন্দ্রীয় অংশ। নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারক দুই ধরনের: পিউরিন এবং পিরিমিডিন। পিউরিন ক্ষারকগুলির মধ্যে রয়েছে এডেনিন (A) এবং গুয়ানিন (G)। পিরিমিডিন ক্ষারকগুলির মধ্যে রয়েছে সাইটোসিন (C), থায়ামিন (T) এবং ইউরাসিল (U)।
-
পেন্টোজ শর্করা: এটি নিউক্লিওটাইডের একটি ৫-কার্বন শর্করা। ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (DNA)-এ ডিঅক্সিরাইবোজ শর্করা থাকে, আর রাইবোনিউক্লিক এসিড (RNA)-এ রাইবোজ শর্করা থাকে।
-
ফসফেট: এটি একটি ফসফরাস-ভিত্তিক যৌগ। নিউক্লিওটাইডের নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারক এবং পেন্টোজ শর্করার সাথে ফসফেট একটি এস্টার বন্ধন গঠন করে।
নিউক্লিওটাইডগুলি একসাথে যুক্ত হয়ে পলিনিউক্লিওটাইড গঠন করে। পলিনিউক্লিওটাইড হলো একটি দীর্ঘ শৃঙ্খল যা নিউক্লিক এসিডের মূল কাঠামো গঠন করে।
নিউক্লিওটাইডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে:
-
ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (DNA) এবং রাইবোনিউক্লিক এসিড (RNA) গঠন: নিউক্লিওটাইডগুলি ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (DNA) এবং রাইবোনিউক্লিক এসিড (RNA) গঠনের জন্য একসাথে যুক্ত হয়।
-
জীবন্ত কোষের রাসায়নিক তথ্যের সংরক্ষণ: DNA কোষের রাসায়নিক তথ্যের সংরক্ষণ করে।
-
জীবন্ত কোষের প্রোটিন সংশ্লেষণ: RNA কোষের প্রোটিন সংশ্লেষণে ভূমিকা পালন করে।
-
শক্তির উৎস: নিউক্লিওসাইড ট্রাইফসফেট (ATP) একটি শক্তির উৎস।
নিউক্লিওটাইডগুলি কোষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা কোষের রাসায়নিক তথ্যের সংরক্ষণ, প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।