পর্যায় সারণির দ্বিতীয় শ্রেণীর মৌলগুলোকে মৃৎক্ষার ধাতু বা ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু বলা হয়। মোট ৬টি মৌল এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এগুলো হল:
-
বেরিলিয়াম (Be)
-
ম্যাগনেসিয়াম (Mg)
-
ক্যালসিয়াম (Ca)
-
স্ট্রনশিয়াম (Sr)
-
বেরিয়াম (Ba)
-
রেডিয়াম (Ra)
মৃৎক্ষার ধাতুগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল:
-
এদের সর্ববহিঃস্থ কক্ষপথে দুটি করে ইলেকট্রন থাকে।
-
এরা তীব্র তড়িৎ ধনাত্মক ধর্ম প্রদর্শন করে।
-
এরা জলের সাথে বিক্রিয়া করে ক্ষারীয় অক্সাইড তৈরি করে।
-
এদের মাটিতে বিভিন্ন যৌগ হিসেবে পাওয়া যায়।
-
সকলের জারণ অবস্থা সাধারণত +২।
মৃৎক্ষার ধাতুগুলির মধ্যে বেরিলিয়াম সবচেয়ে কম তড়িৎ ধনাত্মক এবং রেডিয়াম সবচেয়ে বেশি তড়িৎ ধনাত্মক। মৃৎক্ষার ধাতুগুলির গলনাংক ও স্ফুটনাংক পর্যায় সারণির অন্যান্য মৌলগুলির তুলনায় অনেক বেশি। এরা নরম ও হালকা ধাতু। এরা বাতাসের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে অক্সিডিত হয়ে যায়।
মৃৎক্ষার ধাতুগুলির বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। যেমন,
-
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম বিভিন্ন ধরনের যৌগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
বেরিলিয়াম বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
রেডিয়াম চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশে মৃৎক্ষার ধাতুগুলির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।