ভাইরাসকে অকোষীয় বলা হয় কারণ এরা একটি স্বাধীন কোষীয় কাঠামো গঠন করতে পারে না। এরা একটি নিউক্লিক এসিডের অণু, যা একটি প্রোটিন ক্যাপসিড দ্বারা আবৃত থাকে। ভাইরাসের নিউক্লিক এসিড ডিএনএ বা আরএনএ হতে পারে। প্রোটিন ক্যাপসিড ভাইরাসকে ক্ষতিকারক পরিবেশ থেকে রক্ষা করে।
ভাইরাসের কোন কোষের ঝিল্লি, সাইটোপ্লাজম, রাইবোসোম বা অন্যান্য কোষের অর্গানেল থাকে না। এরা নিজেদের বংশবৃদ্ধি করতে পারে না, বরং এরা একটি জীবন্ত কোষে আক্রমণ করে এবং সেই কোষের প্রোটিন এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করে নিজেদের প্রতিলিপি করে।
ভাইরাসের অকোষীয় প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে, অনেক জীববিজ্ঞানী এদেরকে জীবিত জীব হিসাবে বিবেচনা করেন না। তবে, কিছু জীববিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে ভাইরাসগুলি জীবিত জীবের একটি নির্দিষ্ট রূপ।
ভাইরাসের অকোষীয় প্রকৃতির কিছু নির্দিষ্ট কারণ নিম্নরূপ:
-
ভাইরাসের কোন কোষের ঝিল্লি নেই। কোষের ঝিল্লি একটি গুরুত্বপূর্ণ কোষের অর্গানেল যা কোষকে তার পরিবেশ থেকে পৃথক করে। এটি কোষের জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থগুলিকে অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে এবং অপ্রয়োজনীয় পদার্থগুলিকে বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে।
-
ভাইরাসের কোন সাইটোপ্লাজম নেই। সাইটোপ্লাজম হল কোষের ভিতরের তরল। এটি কোষের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অণু এবং অর্গানেলগুলি ধারণ করে।
-
ভাইরাসের কোন রাইবোসোম নেই। রাইবোসোম হল প্রোটিন তৈরির জন্য দায়ী অণু।
-
ভাইরাসের অন্যান্য কোন কোষের অর্গানেল নেই। অন্যান্য কোষের অর্গানেলগুলি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কোষের কাজগুলি সম্পাদন করে।
এই কারণগুলির কারণে, ভাইরাসকে একটি স্বাধীন কোষীয় কাঠামো গঠন করতে সক্ষম নয়। এরা একটি জীবন্ত কোষে আক্রমণ করে এবং সেই কোষের প্রোটিন এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করে নিজেদের প্রতিলিপি করে।