ডায়াস্টেরিওমার হল একই রাসায়নিক গঠন কিন্তু বিভিন্ন জ্যামিতিক বা অপটিক্যাল বৈশিষ্ট্য সহ একটি যৌগের দুটি আইসোমার। ডায়াস্টেরিওমারগুলি একে অপরের উপর সুপারপোজযোগ্য, তবে তাদের আণবিক গঠনগুলি বিভিন্নভাবে স্থাপন করা হয়।
ডায়াস্টেরিওমারগুলি দুটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত করা যেতে পারে:
-
জ্যামিতিক আইসোমার: জ্যামিতিক আইসোমারগুলির আণবিক গঠনে বিভিন্নভাবে স্থাপন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি সিস-আইসোমার হল দুটি প্রতিস্থাপক একই দিকে স্থাপন করা হয়, যখন একটি ট্রান্স-আইসোমার হল দুটি প্রতিস্থাপক বিপরীত দিকে স্থাপন করা হয়।
-
অপটিক্যাল আইসোমার: অপটিক্যাল আইসোমারগুলির আণবিক গঠনগুলি তাদের নিজস্ব আয়না চিত্রের উপর সুপারপোজযোগ্য নয়। অপটিক্যাল আইসোমারগুলিকে এন্যান্টিওমারও বলা হয়।
ডায়াস্টেরিওমারগুলির মধ্যে পার্থক্যগুলি তাদের শারীরিক এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ,জ্যামিতিক আইসোমারগুলির বিভিন্ন গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক এবং দ্রবণীয়তা থাকতে পারে। অপটিক্যাল আইসোমারগুলির বিভিন্ন অপটিক্যাল সক্রিয়তা থাকতে পারে, যার অর্থ তারা আলোর বিবর্তনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
ডায়াস্টেরিওমারগুলি প্রকৃতিতে এবং শিল্পে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, সুক্রোজ, গ্লুকোজের একটি ডিস্যাকারাইড, একটি ডায়াস্টেরিওমার। প্রকৃতিতে পাওয়া অন্যান্য ডায়াস্টেরিওমারগুলির মধ্যে রয়েছে ল্যাকটোজ, মনোস্যাকারাইড এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। শিল্পে ব্যবহৃত ডায়াস্টেরিওমারগুলির মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক, ঔষধ এবং খাদ্য সংযোজন।
বাংলায় ডায়াস্টেরিওমারকে "পরস্পরস্থাপনীয় আইসোমার" বলা হয়।