দ্রাব্যতা গুণফল (Solubility Product) হলো একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো স্বল্প দ্রবণীয় লবণ বা তড়িৎ বিশ্লেষ্যের সম্পৃক্ত দ্রবণে যেসকল আয়ন উপস্থিত থাকে সে আয়নগুলোর যথোপযুক্ত ঘাত বিশিষ্ট ঘনমাত্রা পদের গুণফল। এটি একটি ধ্রুবক। এর কোন একক নেই একে Ksp দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
দ্রাব্যতা গুণফলের মাধ্যমে লবণের দ্রাব্যতা পরিমাপ করা যায়। লবণের দ্রাব্যতা যত বেশি হবে, দ্রাব্যতা গুণফলের মানও তত বেশি হবে।
নির্দিষ্ট দ্রবণে Ksp এর মান তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে Ksp বৃদ্ধি পায়, তাপমাত্রা হ্রাস পেলে Ksp হ্রাস পায়।
কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে Kip যদি Ksp বেশি হয়, তাহলে দ্রবণটি অতিপৃক্ত, অর্থাৎ লবণের পরিমাণ বেশি। এজন্য দ্রবণে লবণটির অধঃক্ষেপ পড়বে। যদি Kip Ksp এর সমান হয়, তাহলে দ্রবণটি সম্পৃক্ত। যদি Kip Ksp এর কম হয় দ্রবণে আরোও লবণ যোগ করা যাবে।
উদাহরণস্বরূপ, সিলভার ক্লোরাইডের (AgCl) দ্রাব্যতা গুণফল 2.8 × 10^-10। এটি নির্দেশ করে যে, 25°C তাপমাত্রায় 1 লিটার জলে সিলভার ক্লোরাইডের 2.8 × 10^-10 মোল দ্রবীভূত হতে পারে।
দ্রাব্যতা গুণফলের ব্যবহার:
-
লবণের দ্রাব্যতা পরিমাপ করতে
-
লবণের অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া নির্ধারণ করতে
-
দ্রবণে লবণের পরিমাণ নির্ধারণ করতে
-
দ্রবণ থেকে লবণ পৃথক করতে
দ্রাব্যতা গুণফলের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, খনিজ শিল্পে খনিজ পদার্থের দ্রাব্যতা নির্ধারণ করতে দ্রাব্যতা গুণফল ব্যবহার করা হয়। ঔষধ শিল্পে ওষুধের দ্রাব্যতা নির্ধারণ করতে দ্রাব্যতা গুণফল ব্যবহার করা হয়। পরিবেশ বিজ্ঞানে জলের দূষণ নির্ধারণ করতে দ্রাব্যতা গুণফল ব্যবহার করা হয়।