কিডনি বিকল হয়েছে কিনা তা বুঝার জন্য কিছু প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে যা আপনি লক্ষ্য করতে পারেন। এই লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
ঘন ঘন প্রস্রাব বা প্রস্রাব কম হওয়া
-
প্রস্রাবের সাথে রক্ত বা প্রোটিন যাওয়া
-
পা বা চোখ ফুলে যাওয়া
-
শরীরে দুর্বলতা বা ক্লান্তি
-
শ্বাসকষ্ট
-
মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব
-
ক্ষুধা হ্রাস
যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটি অনুভব করেন তবে আপনার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। কিডনি বিকল একটি গুরুতর অবস্থা যা যথাযথ চিকিৎসা না পেলে জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
কিডনি বিকল হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য ডাক্তার নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি বা একাধিক পরীক্ষা করতে পারেন:
-
রক্ত পরীক্ষা: এই পরীক্ষাগুলি কিডনির কার্যকারিতা পরিমাপ করে, যেমন রক্তের ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিয়ার মাত্রা।
-
মূত্র পরীক্ষা: এই পরীক্ষাগুলি কিডনিতে প্রোটিন বা রক্তের উপস্থিতি পরীক্ষা করে।
-
আল্ট্রাসাউন্ড: এই পরীক্ষাটি কিডনিতে কোনও অস্বাভাবিকতা পরীক্ষা করে।
-
সিটি স্ক্যান বা এমআরআই: এই পরীক্ষাগুলি কিডনিতে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে পারে।
কিডনি বিকল যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে, তাহলে এটি চিকিৎসার মাধ্যমে উন্নতি করা যেতে পারে। চিকিৎসার লক্ষ্য হল কিডনিকে আরও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা এবং রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
-
ঔষধ: ঔষধগুলি কিডনির ক্ষতি রোধ করতে বা বিলম্ব করতে সাহায্য করতে পারে।
-
ডায়েট পরিবর্তন: ডায়েট পরিবর্তনগুলি কিডনির উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
-
জীবনযাত্রার পরিবর্তন: জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলি কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।
কিডনি বিকল যদি শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তাহলে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হতে পারে। ডায়ালাইসিস একটি পদ্ধতি যা শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল অপসারণ করে। কিডনি প্রতিস্থাপন হল একটি পদ্ধতি যা একজন মৃত বা জীবিত দাতার কাছ থেকে একটি নতুন কিডনি প্রতিস্থাপন করে।